ভারতীয় সেনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জওয়ান সম্ভবত হরিয়ানা থেকেই ভরতি হন। এই আবহে সেনায় অগ্নিপথ প্রকল্প চালু নিয়ে হিংসাত্মক আন্দোলন দেখেছে হরিয়ানা। এই পরিস্থিতিতেই অনুষ্ঠিত হয় হরিয়ানার পুরভোট। এই নির্বাচনে ফার্স্ট ডিভিশন মার্কস পেল বিজেপি-জেজেপি জোট। বিজেপি একাও পাশ মার্কসের গণ্ডি পার করেছে। এদিকে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনের জন্য নির্দলদের জয়জয়কার।
মোট ৪৬টি মিউনিসিপাল কাউন্সিল এবং কমিটির জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে বিজেপি ২২টিতে জিতেছে। জোটসঙ্গী জেজেপি জয়ী হয়েছে ৩টিতে। ১৯ নির্দলীয় চেয়ারম্যান পদ দখল করেছেন কাউন্সিল, কমিটি মিলিয়ে। এদিকে INLD একটি পুর কাউন্সিলের প্রধানের ভোটে জিতেছে। আম আদমি পার্টির প্রার্থীও একটি কাউন্সিলে প্রধআন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজেপির প্রতীকে হরিয়ানায় মোট ৩৩টি কাউন্সিলে প্রধান পদের জন্য লড়েছিলেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ১১টি আসনে হারেন বিজেপি প্রার্থীরা। এদিকে জেজেপি মোট ৮টি কাউন্সিলে প্রধান পদের জন্য লড়েছিল। এর মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছিলেন জেজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি-জেজেপি জোটের প্রার্থীরা মোট ৪১টি কাউন্সিলের প্রধান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার মধ্যে শাসক জোট এর মধ্যে ৬১ শতাংশ অর্থাৎ ২৫টি কাউন্সিলে জিতেছে। এই ফল প্রকাশের পর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর টুইট করে লেখেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী ভারতীয় জনতা পার্টির সমস্ত প্রার্থীদের অনেক অভিনন্দন। আপনার এই বিজয় জনগণের আস্থার জয়। ২০১৪ এবং ২০১৯ সাল থেকে বিজেপির প্রতি ক্রমাগত এই আস্থা দেখাচ্ছে জনগণ। এই বিজয় দলের মেহনতি কর্মীদের প্রতি নিবেদিত।’