এক ব্যক্তির মুখের কিছুটা অংশ কোনও কারণে কিছুটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে। আর সেই ব্যক্তিকে কার্যত লন্ডনের একটি রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সেখানকার স্টাফরা। কারণ তারা দাবি করেছিল ক্রেতারা তাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন। সেকারণে তিনি যেন রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে যান।
ওই ব্যক্তির নাম অলিভার ব্রমলে। তার বয়স ৪২ বছর। তিনি দক্ষিণপূর্ব লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতাল থেকে সদ্য চিকিৎসা করিয়েছিলেন। এরপর কাছেই একটা রেস্তরাঁ ছিল। সেখান থেকে তিনি দুপুরের খাবার খাবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই তাঁকে এক অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্য়ে পড়তে হয়। নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ব্যক্তি সবে ওয়েটারকে বলতে যাবেন যে তিনি কী খেতে চান। এমন সময় হোটেলের স্টাফরা তাঁকে বলেন, আপনি রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে যান। আপনাকে দেখে সবাই ভয় পাচ্ছে।
অলিভার নামে ওই ব্যক্তির নিউরোফাইব্রোমাটোসিসের সমস্যা রয়েছে। এটা একটা জেনেটিক সমস্যা। তিনি এজন্য চিকিৎসাও করাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমি রেস্তরাঁতে ভালো করে বসতেও পারিনি। আমি সবে অর্ডার করতে যাব আর আমাকে বলা হল আপনি বেরিয়ে যান। কাউন্টারে থাকা একজন আমায় বললেন আপনার সম্পর্কে অভিযোগ আসছে। আপনি বেরিয়ে যান। আমি তাকে আবার বলতে বললাম। তিনি বললেন ক্রেতারা ভয় পাচ্ছেন। আপনি বেরিয়ে যান।
এই ঘটনায় কার্যত হতাশ অলিভার। তবে তিনি ভেঙে পড়তে রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন, আমাকে দেখে তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাউকে কাউকে এভাবেই বেঁচে থাকতে হয়। তিনি নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন, আমি আশা করছি একটা সচেতনতা তৈরি হবে। একদিন ইতিবাচক কিছু উঠে আসবে।
এদিকে অলিভার ওই রেস্তরাঁতে আবার গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি কোনও জবাব পাননি। এরপর তিনি মেট্রোপলিটান পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাদের দাবি এটা আসলে হেট ক্রাইম। তবে পুলিশ গোটা ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। প্রয়োজনে এই ঘটনায় গ্রেফতার করাও হতে পারে।
এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেস্তরাঁর স্টাফদের আরও বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারোর দৈহিক বিকৃতির জন্য কাউকে যে হোটেল থেকে এভাবে বের করে দেওয়া যায় না সেটাই তাঁরা বোঝাতে চাইছেন।