হাথরাস ধর্ষণ ও খুন মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশের এক কোর্ট, পাশাপাশি মামলায় ১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে নারকীয় এক গণধর্ষণ ও তারপর খুনের অভিযোগ ওঠে উত্তর প্রদেশের হাথরাসে। সেই মামলার রায়ে ৩ অভিযুক্তকে রেহাই দিয়েছে কোর্ট, দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সন্দীপ ঠাকুর।
জানা গিয়েছে, হাথরাসের গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সন্দীপ ঠাকুরের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেই ধারাটি অত্যন্ত দুর্বল। ফলে সেভাবে কোনও গুরুতর ধারায় সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা আনা হয়নি। এদিকে, এই মামলায় যারা বেকসুর খালাস হয়েছে তারা হল, লাভ কুশ, রামু ও সন্দীপের কাকা রবি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে হাথরাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ২০ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, হাথরাস নিবাসী ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এদিকে, তাঁকে হত্যা কারর অভিযোগও ওঠে। নারকীয় ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ওই মহিলা শেষমেশ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তরুনী। তারপরই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার তাঁকে দাহ করতে রাজি ছিল না, দাবি করা হয়েছিল , যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হবে, দাহ করা হবে না। তবে রাতের অন্ধকারেই তরুণীর সৎকারে উদ্যত হয় পুলিশ। সেই ঘটনা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় দেখা দেয়। (সাগরদিঘি: কোন ভোট-অঙ্কে কংগ্রেসের বাজিমাত? 'অভি বহুত কুছ বাকি হ্যায়', বললেন অধীর)
হাথরাসের তরুণীর দেহ নিয়ে মধ্যরাতে অন্ত্যেষ্টির ঘটনা ঘিরে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধে। দাবি করা হয় , এলাকার ঠাকুর সম্প্রদায়কে আড়াল করতে চাইছে প্রশাসন। কারণ ধর্ষণে অভিযোগ ঠাকুর সম্প্রদায়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছিল। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর হাথরাসের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। অসুস্থ অবস্থাতে তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্টে উঠে আসে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর কাঁধে চোটের জেরেই অসুস্থতা গুরুতর হয়েছিল বলেও বেশ কিছু সূত্রে দাবি করা হয়েছিল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup