টানা দু' দিন গৃহবন্দি থাকার পর হাথরাসকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মৃত কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমকে সামনে পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। তাঁদের সাফ কথা, যে বা যারা মেয়েকে মেরেছে, তাদের কড়া শাস্তি চাই।
শনিবার মৃত কিশোরীর ভাই জানান,'আমরা জানতে চাই, কার দেহ সে দিন দাহ করা হচ্ছিল? যদি আমাদের বোন হয়, তা হলে কেন তাকে এ ভাবে পোড়ানো হল? আমরা সবাই পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যাতে বোনকে একবার দেখতে দেওয়া হয়।'
একই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁরা ময়না তদন্তের রিপোর্টও দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্ট দেখাতে রাজি হয়নি পুলিশ। বলা হয়েছে, রিপোর্ট ইংরাজিতে লেখা। তাই সেই লেখা বুঝতে পারবে না নিগৃহীতার পরিবার।
এদিন তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপরও ক্ষোভ উগরে দেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, সিট তদন্ত করছে ঠিকই। কিন্তু সিট তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে না, গ্রামের অন্য লোকেদের সঙ্গে কথা বলছে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গত ২ দিন ধরে তাঁদের বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা খুব ভয়ে ভয়ে আছেন বলেও জানিয়েছেন। প্রশাসনের যে সব আধিকারিকরা আসছেন বাড়িতে, তাঁরা সবার মোবাইল ফোন দেখতে চাইছেন। ফোনই তাঁদের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম।
এমন আচরণ করা হচ্ছে যে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, চাপ দেওয়া হয়েছিল যাতে মামলা তুলে নেওয়া হয়। তবুও দলিত পরিবারের স্পষ্ট দাবি, ‘আমরা সুবিচার চাই।’