১৯৪৯ সালের এক আইনের মাধ্যমে গুজরাতে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সরকারি ভাবে মদ নিষিদ্ধ হলেও এই রাজ্যে ৪.৩ শতাংশ মানুষ সুরায় আশক্ত বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছিল সরকার। এই আবহে এক আবেদনকারী এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল গুজরাত হাই কোর্টে। তাঁর দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা গোপনীয়তার অধিকারকে খর্ব করে। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে করা মামলা গ্রহণ করল গুজরাত হাই কোর্ট।
গুজরাতের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিরেন বৈষ্ণবের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে চলেছে। ১২ অক্টোবর এই মামলার প্রথম শুনানি। এদিকে গুজরাত সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদীর দাবি ছিল যে এই মামলার আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করা উচিত। তবে হাই কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করেছে।
আবেদনকারী ১৯৪৯ সালের এই আইনের ১২ এবং ১৩ (মদ উৎপাদন, ক্রয়, আমদানি, পরিবহন, রপ্তানি, বিক্রয়, মজুত, সেবনের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা), ২৪-১বি, ৬৫ নম্বর ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। এগুলি অসাংবিধানিক বলে তাঁর দাবি। এদিকে রাজ্য সরকারের যুক্তি, 'গোপনীয়তার অধিকার এই ধারণাটি কোনও চিনা দোকানে ষাঁড়ের মতো নয়। এটি সামাজিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে; নয়ত আগামীকাল, কেউ বলবে যদি আমি আমার চার দেয়ালের মধ্যে মাদক, সাইকোট্রপিক পদার্থ গ্রহণ করি তবে আমাকে হয়রানি করা উচিত নয়।'