এলাহাবাদ হাইকোর্ট বুধবার এএসআইকে নির্দেশ দিয়ে সম্ভল মসজিদের কিছু নির্দিষ্ট অংশে এক সপ্তাহের মধ্য়ে হোয়াইটওয়াশ করে ফেলতে।
আদালত জানিয়েছে, আর অতিরিক্ত আলো দেওয়ালে দেওয়ার দরকার নেই। এটা মনুমেন্টের ক্ষতি হতে পারে। তবে বাইরে ফোকাস লাইট বা এলইডি আলো ব্যবহার করতে পারে এএসআই। বাইরের এলাকা আলোকিত করার জন্য। হোয়াইটওয়াশ করার খরচ মসজিদ কমিটির থেকে নিতে হবে। এটা এক সপ্তাহের মধ্য়ে মেটাতে হবে। হোয়াইট ওয়াশ শেষ করার পরে।
বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল এই নির্দেশ পাশ করেছেন। কমিটি আবেদন করেছিল গত মাসে যে হোয়াইট ওয়াশের অনুমতি দিন, রমজানের আগে মসজিদ পরিষ্কার করতে হবে।
এর আগের শুনানিতে কী জানিয়েছিল আদালত?
সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে (এএসআই) নির্দেশ দিয়েছে যে বিতর্কিত কাঠামোর (সম্ভল মসজিদ) বাইরে হোয়াইট ওয়াশ, অতিরিক্ত আলো এবং আলংকারিক আলোর প্রয়োজন আছে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জবাব জমা দিতে। আদালত এএসআইকে হলফনামা দাখিল করার জন্য ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছিল।
বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল ১২ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে যদি আরও পরীক্ষার প্রয়োজন হয় তবে এএসআই কাঠামোটি মূল্যায়ন করার জন্য একটি দল পাঠাতে পারে।
আদালত উত্তরপ্রদেশের অ্যাডভোকেট জেনারেল অজয় কুমার মিশ্রকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৯২৭ সালের ১৯ জানুয়ারি জামা মসজিদের মুতাওয়াল্লি ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তার প্রতিলিপি চাইতে।
মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএফএ নাকভি যুক্তি দিয়েছিলেন যে এএসআই মসজিদের বাইরে হোয়াইটওয়াশ, অতিরিক্ত আলো এবং আলংকারিক আলোর অনুরোধ স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেনি। নকভি বলেছিলেন যে কাঠামোর ভিতরে কোনও চিত্রকর্মের প্রয়োজন নেই এবং প্রমাণ হিসাবে বাইরের রঙিন ফটোগ্রাফ উপস্থাপন করেছিলেন।
এএসআইয়ের আইনজীবী মনোজ কুমার সিং আদালতকে জানিয়েছিলেন, বাইরের দেওয়ালে কিছু ফ্লেকিং দেখা যাচ্ছে, তবে সংরক্ষণ ও বিজ্ঞান শাখার সহায়তায় প্রত্নতাত্ত্বিককে বিস্তারিত সমীক্ষার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত এএসআইকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। জবাবে এএসআই জানায়, বাইরের দিকে আধুনিক এনামেল পেইন্ট অক্ষত রয়েছে, যা হোয়াইটওয়াশের প্রয়োজনীয়তা উড়িয়ে দেয়। তবে আদালত এএসআইকে চত্বর থেকে ধুলো ও ঘাস পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছে এবং মসজিদ কমিটিকে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে আপত্তি দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।