একবারে কাজ হয়নি, একই দম্পতি নিলেন দুবার ডিভোর্স, কেন জানেন?

২০২২ সালের ৬ই জানুয়ারি স্পেশাল ম্য়ারেজ অ্য়াক্টে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে তাঁরা তো দুবার বিয়ে করেছেন। সেক্ষেত্রে ডিভোর্সও কী দুবার নিতে হবে?

দুবার ডিভোর্স নিলেন একই দম্পতি। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

একবার ডিভোর্স তো আকছারই শোনা যায়। কিন্তু একই দম্পতির দুবার ডিভোর্স! সেটাই হল এবার। এক পার্সি দম্পতি পরস্পরকে দুবার বিয়ে করেছিলেন। একবার তাঁরা স্পেশাল ম্যারেজ অ্য়াক্ট (১৯৫৪) মতে বিয়ে করেন। দ্বিতীয়বার ওই একই দম্পতি পার্সি ম্য়ারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স অ্যাক্ট( ১৯৩৬) অনুসারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর সেই নিরিখে যখন তাঁরা ডিভোর্স করার দিকে এগোলেন তখন তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁদের দুবার ডিভোর্স করতে হয়েছে। বোম্বে হাইকোর্ট শুক্রবার তাঁদের ডিভোর্সের পক্ষে রায় দিয়েছে।

ওই দম্পতি উভয়ই জোরাস্ট্রিয়ান। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁরা স্পেশাল ম্যারেজ অ্য়াক্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এদিকে পরিবারের চাপে তাঁরা  ওই বছরই ২১শে ডিসেম্বর জোরাস্ট্রিয়ান মত অনুসারে পার্সি ম্যারেজ ও ডিভোর্স অ্যাক্টে পরস্পরকে ফের বিয়ে করেন। তবে দুই মতে বিয়ে করার কয়েক বছর পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয়। ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। গত বছর তাঁরা থানে পারিবারিক আদালতে যৌথভাবে ডিভোর্স ফাইল করেন। এরপর ২০২২ সালের ৬ই জানুয়ারি স্পেশাল ম্য়ারেজ অ্য়াক্টে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে তাঁরা তো দুবার বিয়ে করেছেন। সেক্ষেত্রে ডিভোর্সও কী দুবার নিতে হবে?

এরপর দ্বিতীয় ডিভোর্সের জন্য তাঁরা হাইকোর্টে যান। জাস্টিস গিরিশ কুলকার্নির সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার পার্সি মতে বিয়ে করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রথম ডিভোর্সের পরেও দ্বিতীয় বিয়েতে কোনও প্রভাব পড়বে না। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডিভোর্সের আবেদনও মেনে নিয়েছে আদালত।