কোনও মহিলার প্রজননের অধিকার খর্ব করা যাবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ করল কেরল হাই কোর্ট। পাশাপাশি ২৩ বছর বয়সি এক ২৬ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, গর্ভপাত না করালে যুবতীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ত। এই আবহে সংবিধাবের ২১ নং ধারার আওতায় উচ্চ আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দিল সেই যুবতীকে।
মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অরুণ বলেন, ‘প্রজনন করা বা না করার ক্ষেত্রে একজন মহিলার প্রজননের পছন্দের অধিকারের ওপর কোনও সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে না।’ কেরল হাই কোর্ট আরও বলেছে যে একজন মহিলার প্রজননের পছন্দের অধিকার তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার আওতায় পড়ে। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়গুলি উল্লেখ করে হাই কোর্ট বলে, মহিলার প্রজননের অধিকার সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষিত।
উল্লেখ্য, সহপাঠীর সাথে সম্মতিপূর্ণ সম্পর্কের পরে গর্ভধারণ করেছিলেন কেরলের এক এমবিএ ছাত্রী। তবে তিনি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান রোগে ভুগছিলেন। সেই রোগের চিকিৎসা চলাকালীন আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয়। সেই সময়ই গর্ভধারণের বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন সেই ছাত্রী। এদিকে ছাত্রী জানান, তিনি যেই সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে গিয়েছেন। এই আবহে যুবতী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেন, ‘এই সন্তানকে জন্ম দিলে মানসিক ভাবে আমি ভেঙে পড়তে পারি এবং আমার পড়াশোনার ওপর তার প্রভাব পড়বে। এর জেরে আমার চাকরি এবং জীবন ধারণে সমস্যা হবে।’ তাই গর্ভপাতের অনুমতি চান সেই যুবতী। যুহতীর সেই আবেদন গ্রহণ করে গর্ভপাতের অনুমতি দিল কেরল হাই কোর্ট।