রাষ্ট্রপতি হয়ে চেয়েছিলেন এক পরিবেশবিদ। এনিয়ে আবেদনও করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদনকে বাতিল করে দিয়েছে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি এই আবেদনের ধরন নিয়ে কার্যত বিরক্ত। আদালত জানিয়েছে, আবেদনটি পুরো বিকৃত ও আদালতের যে পদ্ধতি তাতেও বিঘ্ন ঘটিয়েছে। হাস্যকর বলে উল্লেখ করা হয় জগন্নাথ সাওয়ান্তের ওই আবেদনকে। দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এটি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধানের অফিস সম্পর্কে করা হয়েছে।
এরপরই আদালতের তরফে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিষয়ের উপর কোনও পিটিশন এলে সেটা গ্রহণ করবেন না। নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামীদিনে একই বিষয়ের উপর যদি কোনও পিটিশন আসে তবে তা গ্রহণ করবেন না।
এদিকে ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল…
১) ২০২২ এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁকে ত্রুটিবিহীন প্রার্থী হিসাবে গণ্য় করতে হবে।
২) প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করতে হবে।
৩) বেতন মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়।
এদিকে এই আবেদনের কথা শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, কী ধরণের অদ্ভূত দাবি আপনি ভারতের রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে করছেন?
আসলে ওই ব্যক্তি ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের নাগরিক হিসাবে আমার সবরকম অধিকার আছে এই ধরনের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার।
বিচারপতি জানিয়েছেন, আপনার কোনও অধিকার নেই এই ধরনের আবেদন করার। আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন। কিন্তু কোর্টে এসে পাবলিকের সময় নষ্ট করার অধিকার আপনার নেই।
তিনি আদালতের সময় চেয়ে জানান, গত তিনবার রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়াতে চেয়েছি। কিন্তু মনোনয়নপত্রও জমা দিতে দেওয়া হয়নি। নমিনেশন দেওয়ার অধিকার তো আমার রয়েছে। দাবি করেন ওই ব্যক্তি। বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমাদের কর্তব্য।