একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বর্ণানুক্রমিক ভাবে ভাগ না করে তাদের বর্ণের ভিত্তিতে বাছাই করে স্কুলে ডাকার অভিযোগ উঠল সেই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। চেন্নাই প্রশাসন সেই প্রধান শিক্ষিকাকে বদলি করে দিয়েছে এবং তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।
তামিলনাড়ুতে ১ নভেম্বর থেকে স্কুলগুলি ফের খুলেছে। তারপরই সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি মাথায় রেখে ব্যক্তিগতভাবে ক্লাসে আসার জন্য শিশুদের বিভিন্ন ব্যাচে ভাগ করা হচ্ছে। এই আবহে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তথা চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস শিক্ষিকা জাতপাতের নিরিখে পড়ুয়াদের বাছাই করে ব্যাচ ভাগ করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই গ্রেটার চেন্নাই মিউনিসিপ্যালকর্পোরেশনের দ্বারা পরিচালিত অন্য একটি মিডল স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয় সেই স্কুল শিক্ষিকাকে। যদিও ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পাওয়া যায়নি শিক্ষিকা বা প্রশাসনের তরফে।
গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের শিক্ষার ডেপুটি কমিশনার, ডি স্নেহা বলেন যে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শিক্ষক অসাবধানতাপূর্ণ এই কাজ করেছেন। তবে এটি সত্য যে ছাত্রদের তাদের বর্ণের ভিত্তিতে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। ক্লাস রেজিস্টারের একটি অনুলিপি হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে আসে। তাতে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রদের নাম তফসিলি জাতি, অনগ্রসর শ্রেণী এবং সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে বিভক্ত করা হয়েছে।
স্নেহা বলেন, 'ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হোক, শিক্ষক শিশুদের নামের পাশে সম্প্রদায়ের নাম লিখেছেন এবং তাদের তিনটি ব্যাচে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা দেখছি এটা বর্ণভিত্তিক বিভেদ ছিল কিনা।'