বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশগামী বিমান। সূত্রের খবর ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে ঢাকা যাচ্ছিল বিমানটি। ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে। রায়পুরের কাছাকাছি আচমকাই অসুস্থতা বোধ করেন পাইলট। আসলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন পাইলট। এদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে সঙ্গে সঙ্গে সহকারী পাইলট কলকাতা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ওই বিমান থেকে। কলকাতা এটিসি থেকে বাংলাদেশের ওই 'বিমান'কে পরামর্শ দেওয়া হয় কাছাকাছি বিমানবন্দর নাগপুরে ল্যান্ড করার জন্য। এরপর নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরী ভিত্তিতে ওই বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়। নাগপুরের হাসপাতালে পাইলটের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। যাত্রীরাও সকলেই অক্ষত রয়েছেন।
তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে পাইলট ও কলকাতা এটিসির মধ্যে সঠিক সময়ে যোগাযোগ না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। পাশাপাশি কলকাতা এটিসি যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে গোটা বিষয়টির মোকাবিলা করেছে তা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য বলেই অনেকে মনে করছেন। মাঝ আকাশে পাইলটের হার্ট অ্যাটাকের পরিণতি যে কী ভয়াবহ হতে পারে তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে। নাগপুর এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর এমএ আবিদ রুহি বলেন, 'পাইলটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ১২৬জন যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের জন্য বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।' তবে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এর আগেও চলতি বছররে গোড়ার দিকে একটি বিমান ওড়ার পর তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেবারও তা সঙ্গে সঙ্গে নজর করায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছিল।