মৃত্যু হল বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের প্রধান আহমেদ শফির। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। শফির মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ।
বাংলাদেশের কাওমি মাদ্রাসা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন আহমেদ শফি। ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো দেওবন্দি মাদ্রাসা প্রধান। এছাড়া কট্টরপন্থী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ‘আমির’ ছিলেন তিনি।
বেশ কিছু দিন ধরে হাটহাজারি বড় মাদ্রাসায় কর্তৃত্ব নিয়ে শফির সঙ্গে বিরোধ চলছিল বিরোধী পক্ষের। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ছিল মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির বৈঠক। সেই বৈঠক ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্ররা। এর পর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। বৈঠকে শফির ছেলেকে পরিচালন সমিতি থেকে অপসারণ করা হয়।
বৈঠক থেকে বেরিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন শফি। তাঁকে চট্টোগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
২০১৩ সালে বাংলাদেশে গণজাগরণ আন্দোলনের বিরোধিতায় হেফাজতে ইসলাম নামে কট্টরপন্থী ছাত্রদের নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন শফি। বাংলাদেশে ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এই সংগঠনের লক্ষ্য। এছাড়া বাংলাদেশের ইসলামি ঐক্য জোটের মহাসচিব ছিলেন তিনি।