ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক ময়দানে তোলপাড়ের মাঝেই দিল্লি গিয়েছিলেন শাসকদলের বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ভাই বসন্ত সোরেন। সেই সফরের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বসন্ত। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বলেন,‘আমার অন্তর্বাসের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আমি দিল্লি গিয়েছিলাম নিজের অন্তর্বাস কিনতে। আমি সেখান থেকেই অন্তর্বাস কিনে থাকি।’
খিজুরিয়ায় বাবা শিবু সোরেনের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বসন্ত মেনে নিয়েছিলেন যে রাজনৈতিক সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে এখন সব সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেন বসন্ত সোরেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়৪৭ ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয় হেমন্ত সোরেনের সরকার।
এদিকেঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস কয়েকদিন আগে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। তাঁর এই সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই দিল্লি যান তিনি। রাজ্যপালের কাছে শাসক শিবিরের বিধায়করা আবেদন করেছিলেন,মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধানসভা সদস্যপদ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে গোপন রিপোর্ট পাঠিয়েছে,তা যাতে প্রকাশ করা হয়। এরপরই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এদিকে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি রাজভবনের তরফে।
সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে,অফিস অফ প্রফিট ইস্যুতে হেমন্ত সোরেনকে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেননি রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে। এই রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল কী করেন,তার ওপরই পরের ঘটনাক্রম নির্ভর করবে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক গতি্রকৃতির। তবে কয়েকদিন আগে আস্থা ভোটে জিতে আপাতত স্বস্তিতে জেএমএম সরকার।