২৪টি হাতির দল। ওড়িশার কেওনঝার জেলার জঙ্গলে ঘুমিয়ে ছিল হাতির দল। গ্রামবাসীদের দাবি মহুয়া থেকে যেখানে মদ তৈরি হয় সেখানে শুয়ে থাকতে দেখা যায় হাতির দলকে। বাসিন্দাদের দাবি, দেশি মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল হাতির দল। তার জেরেই এই পরিস্থিতি। আসলে জঙ্গলের গভীরে জলের মধ্যে মহুয়া ভিজিয়ে রেখে তা থেকে দেশি মদ তৈরি করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন। সেই সময় গ্রামবাসীরা দেখেন মহুয়ার ড্রামের পাশেই শুয়ে রয়েছে হাতির দল।
স্থানীয় বাসিন্দা নারিয়া শেঠি জানিয়েছেন, সকাল ৬টা নাগাদ আমরা জঙ্গলে যাই। মহুয়া তৈরির জন্য আমরা গিয়েছিলাম। সেই সময় দেখি সব পাত্রগুলি ভাঙা রয়েছে। আর দেশি মদও আর নেই। পাশেই দেখলাম হাতির দল ঘুমিয়ে রয়েছে। ওরাই ওই মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
৯টি দাঁতাল, ৬টি মহিলা হাতি আর ৯টি হাতির বাচ্চা ওই দলে ছিল। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দেশি মদ তখনও তৈরি হয়নি। সেগুলোই ওরা খেয়ে ফেলেছিল। আমরা হাতিগুলিকে জাগানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা কিছুতেই উঠছিল না। পরে বনদফতরকে আমরা জানাই।
এদিকে বনদফতরের আধিকারিকরা এরপর জঙ্গলে ঢুকে ড্রাম বাজিয়ে হাতির দলকে জাগায়। এরপর হাতির দল গভীর জঙ্গলে চলে যায়। বনদফতর সূত্রে খবর।
তবে মহুয়া খেয়েই হাতির দল ওইরকম মাতাল হয়ে গিয়েছিল কি না তা বনদফতরের কাছে পরিষ্কার নয়। বনদফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হয়তো ওরা ওখানে বিশ্রাম নিচ্ছিল। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, হাতিগুলো মহুয়া খেয়েই মাতাল হয়ে গিয়েছিল।