একটিই স্টেশন। অথচ তা দেশের দুইটি রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত। রবিবার এমনই এক অভিনব স্টেশনের কথা তুলে ধরল ভারতীয় রেল মন্ত্রক।
শুনে অবাক হচ্ছেন? আসল অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভবানী মান্ডি নামের এই রেল স্টেশন দুইটি রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত। এর অর্ধেক রাজস্থানে। বাকি অর্ধেক মধ্যপ্রদেশে রয়েছে। আরও পড়ুন: কোটি টাকারও বেশি জরিমানা সংগ্রহ! রেলের ইতিহাসে রেকর্ড মহিলা টিকিট চেকারের
টুইটারে রেল মন্ত্রকের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে এই স্টেশনের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। তাতে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, দিল্লি-মুম্বই রেল লাইনে অবস্থিত এই অভিনব রেল স্টেশনটি রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ, দুই রাজ্যের মধ্যেই পড়ে। দুই রাজ্যের সীমান্তের মধ্যে দিয়ে এই স্টেশনটি গিয়েছে।
ফলে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, এই ট্রেনের ইঞ্জিন চলে আসে রাজস্থানের ঝালওয়ারে। অন্যদিকে গার্ডের কোচ থাকে মধ্যপ্রদেশের সীমান্তের ভিতরে।
এই রেল স্টেশনের আরও কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যদি আপনি গিয়ে কখনও ভবানী মান্ডি স্টেশন থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু করেন, তাহলে দেখবেন, স্টেশনের এক প্রান্তের বোর্ডে লেখা, রাজ্য রাজস্থান। অন্যদিকে স্টেশনের অপর প্রান্তে রাজ্যের নাম হিসাবে মধ্যপ্রদেশ লেখা।
রেল স্টেশনটির আরও একটি দুর্দান্ত বিষয় হল, ধরুন কোনও ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশ থেকে এসে টিকিট কাটবেন। তাঁকে কিন্তু রাজস্থানে গিয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে হবে।
আরও মজার বিষয় হল, এই স্টেশনের কাছাকাছি এলাকাতেই এমন বহু বাড়ি রয়েছে, যার সামনের দরজা খুলছে মধ্যপ্রদেশে। এদিকে পিছনের দরজা, উঠোন পড়ছে রাজস্থানের মধ্যে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই দুই রাজ্য পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে অনেক অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মাদক পাচারকারীরা অনেক সময়েই এই দুই রাজ্যের পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত পলায়ন করেন। এক রাজ্য থেকে নিমেষে চলে যান পাশের রাজ্যে। আর তার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকর্মীদের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১৮ সালে এই রেল স্টেশনকে নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছিল। 'ভবানী মান্ডি টেশন' নামের সেই কৌতুকধর্মী সিনেমায় মজার ছলে এই স্টেশনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। আরও পড়ুন: Izzat Monthly Pass: ‘ইজ্জত’ পাস তুলেই দিচ্ছে রেলমন্ত্রক, মমতার চালু করা স্কিম বন্ধে চিঠি সাংসদকে
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup