লেবাননে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল হেজবোল্লার শীর্ষ কমান্ডার শেখ মহম্মদ আলি হাম্মাদির। জানা গিয়েছে, এই তাবড় হেজবোল্লা নেতা বহুদিন ধরে এফবিআই-র ‘ওয়ান্টেড’ লিস্টে। সদ্য মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদপত্র আল আখবার।
জানা যাচ্ছে, হেজবোল্লার পশ্চিম প্রান্তের আল বাক্কা এলাকায় দীর্ঘদিন কমান্ডার পদে ছিল সংগঠনের এই সদস্য। জানা গিয়েছে, তার বাড়ির সামনে বাইক আরোহী ২ ব্যক্তি এসে হেজবোল্লা নেতাকে গুলি করে যায় বলে খবর। জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাম্মাদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাকে প্রাণে রক্ষা করা যায়নি।
তবে, হাম্মাদিকে কেন খুন করা হল, বা কারা খুন করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে হাম্মাদির পরিবারের অন্দরে সংঘাত, একটি কারণ হতে পারে। তবে হাম্মাদির মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত হেজবোল্লা কোনও বিবৃতি দেয়নি। এখনও পর্যন্ত হাম্মাদির মৃত্যুকে কোনও গোষ্ঠী দায় নেয়নি। ফলে রহস্য ঘনাচ্ছে। এদিকে, দশকের পর দশক ধরে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআইর তালিকায় হাম্মাদি ছিল ওয়ান্টেড লিস্টে। একের পর এক হাইপ্রোফাইল জঙ্গি হামলার নেপথ্য নায়ক ছিল হাম্মাদি। ১৯৮৫ সালে পশ্চিম জার্মানিতে লুফথানসার এয়ারলাইন অপহরণে নাম জড়ায় এই হাম্মাদির। সেই বিমানে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের ১৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। জানা যায় হাইজ্যাকের সময় মার্কিন নাগরিকদের ওপর প্রবল অত্যাচার করা হয়েছিল সেবার। অনেক মার্কিন নাগরিককে খুনও করা হয়। বারবার পশ্চিমী দুনিয়ার নানা টার্গেটকে নিশানা করা ঘিরে খবরের শিরোনাম কেড়েছে হাম্মাদি। তাকে নিজের বাড়ির সামনে কে বা কারা খুন করল, তা ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা।
( Netaji Subhash Chandra Bose Quotes: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কিছু অমর উক্তি যা আজও অনুপ্রেরণার উৎস)
এদিকে, হেজবোল্লার সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাতের মাঝে একের পর এক হেজবোল্লা নেতাকে নিকেশ করেছে ইজরায়েলও। এই হেজবোল্লার সঙ্গে ২০২৩ সাল থেকে সংঘাত শুরু হয়েছে ইজরায়েলের। হেজবোল্লার পর পর ৭ নেতাকে নিকেশ করেছে ইজরায়েল। হেজবোল্লার একাধিক টার্গেট নিশানা করে হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলের হানার পর হেজবোল্লার ওপর তুমুল আঘাত আসে। তারপর এই হেজবোল্লা নেতা হাম্মাদির মৃত্যু ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে।