লাল নীল সবুজেরই মেলা বসেছে….। তবে আশেপাশে কোথাও নয়। সূর্যের গায়ে বসেছে এই আলোর মেলা। সাধারণত এই রঙগুলি দেখা যায় না সূর্যের গায়ে। কিন্তু নাসার সাম্প্রতিক ছবি অন্য কথা বলছে। টেলিস্কোপে ধরা দিয়েছে এক অন্য সূর্য। তাতে সেই গনগনে তেজ একেবারে উধাও। দেখাই যাচ্ছে না তরল লাভার চিহ্ন। বরং কালচে লালের উপর ফুটে উঠেছে অন্য রং। যে রঙের সচরাচর দেখাই মেলে না সূর্যের গায়ে।
নাসার তরফে শনিবার ইনস্টাগ্ৰাম পোস্ট করে জানানো হয়, এই রঙগুলি সূর্যের রং হিসেবে মোটেই পরিচিত নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। নাসার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় প্রায় কালো সূর্যের মাঝে মাঝে লাল আভা। এছাড়াও সবুজ রঙের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে নানা দিক থেকে। খুঁটিয়ে দেখলে মাঝে মাঝে এক দুই জায়গায় উজ্জ্বল নীল রঙও চোখ পড়বে। ইনস্টাগ্ৰাম পোস্টটিতে নাসার তরফে লেখা হয়, এই রঙগুলি আসলে সূর্যের ‘লুকোনো আলো’। যা সূর্যের ভিতর থেকে আসে না। বরং লুকিয়ে রয়েছে সূর্যের বহিঃপৃষ্ঠে। বহিঃপৃষ্ঠের উষ্ণতা সূর্যের নিজস্ব তাপমাত্রার থেকে ১০০ গুণ বেশি! এই নিয়ে এতদিন ধন্দে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন ছবি দেখে বিজ্ঞানীদের দাবি, এই বিশেষ আলোই এতো বেশি তাপমাত্রার কারণ। সূর্যের বায়ুমন্ডলে ছোট ছোট বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে তাপ উৎপন্ন হয়ে বাড়িয়ে দেয় তাপমাত্রা। একইসঙ্গে তৈরি হয় এমন আলো।
কীভাবে ধরা পড়ল হঠাৎ এমন ছবি? নাসা তরফে বলা হয়, তাদের নুস্টার (নিউক্লিয়ার স্পেক্ট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ অ্যারে) ধরা পড়েছে এই বিশেষ ছবি। এছাড়াও সোলার ডায়নামিকস অবজারভেটরিতেও একই ছবি ধরা পড়ে এদিন। নাসার তরফে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা) হিনোড মিশনের কথাও উল্লেখ করা হয়। তাদের অত্যাধুনিক যন্ত্রেও একইভাবে ধরা দিয়েছে সূর্যের বিশেষ রঙিন আলো।
তিনটি আলাদা আলাদা যন্ত্র থেকে পাওয়া ছবি মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ ছবিটি। যাতে সবকটি রঙই একসঙ্গে ধরা পড়েছে। কোন যন্ত্রে কোন রঙটি ধরা পড়েছে সে কথাও জানায় নাসা। নুস্টারে নীল রঙের এক্স রশ্মি, এসডিওতে লাল ও জাক্সাতে সবুজ রঙের এক্স রশ্মি ধরা পড়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup