প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করা মানে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ধাক্কা। এই আবহে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি যাতে পড়ুয়াদের থেকে নির্ধারিত বেতনের থেকে অতিরিক্ত ফি না নেয়, তা নিশ্চিত করতে বলল কর্ণাটক হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, বাংলা সহ দেশের বহু রাজ্য থেকে দক্ষিণী এই রাজ্যে পড়ুয়ারা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে যায়। এই ক্ষেত্রে কর্ণাটক এক্সামিনেশন অথরিটির নির্ধারিত বেতনের থেকে বেশি টাকা নিতে পারে না কলেজগুলি। তবে অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে, পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে অতিরক্ত টাকা নিয়ে থাকে কলেজগুলি।
কর্ণাটক উচ্চ আদালতের বিচারপতি বি বীরাপ্পা এবং কেএস হেমলেখার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘রাজ্য সরকারের কর্তব্য হল ছাত্রদের রক্ষা করা। এই আবহে এমন সমস্ত কলেজকে নির্দেশ জারি করা হোক যারা রাজ্য সরকারের নির্ধারিত ফি-এর অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা আদায় করেছে। যদি রাজ্য সত্যিই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আগ্রহী হয় তাহলে এই কাজ করা হোক।’
উল্লেখ্য, জি হরিশ এবং অন্যরা ২০১৭ সালের সেপ্টেমবরে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছিলেন, তাদের মেডিক্যাল কলেজ সরকারের নির্ধারিত ফি-এর বেশি টাকা চেয়েছে তাঁদের থেকে। এই অতিরিক্ত টাকা এককালীন কিস্তিতে নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা পড়ুয়ারা দিয়েও দিয়েছিল। তবে তারা অভিযোগ দায়ের করেন উচ্চ আদালতে। সেই মামলার শুনানির প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারকে নির্দেশিকা জারি করতে বলল হাই কোর্ট।
২০১৭ সালে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষের পড়াশোনা শেষ করেন অভিযোগকারী পড়ুয়ারা। এরপর দ্বিতীয় বর্ষের পড়াশোনা শুরু হলে ফের একবার ২০১৮ সালে অতিরিক্ত ফি চায় কলেজ। এরপর এই পড়ুয়ারা অ্যাডমিশন ওভারসিইং কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। কমিটি পড়ুয়াদের পক্ষে রায় দেয়। তবে কলেজ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়। এই আবহে ভুক্তভোগী পড়ুয়ারা তাদের থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ফি ফেরত চান। পাশাপাশি উচ্চ আদালতের কাছে দ্বারস্থ হয়ে পড়ুয়ারা দাবি জানায়, মেডিক্যাল কলেজ যাতে আর কারও থেকে অতিরিক্ত ফি না নেয়, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হোক।