দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একনয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেট্রল, নয়তো নব্বইয়ের গণ্ডিতে আছে জ্বালানি। তবে নার্ভাস নব্বই নয় একেবারে দৃপ্ত গতিতে একশোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পেট্রল। এরই মধ্যে বাধ্য হয়ে নেপাল থেকে জ্বালানি পাচার করে আনছে সীমান্তবর্তী বিহারের লোকজন। প্রসঙ্গত, ভারতের চেয়ে বিহারে পেট্রলের দাম অনেক কম।
বিহারের আরারিয়ায় পেট্রলের দাম ৯৩.৫০ টাকা। অন্যদিকে নেপালে এক লিটার জ্বালানি মিলছে ৭০.৬২ টাকায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে পাচার। বিহারের আরারিয়া ও কিষানগঞ্জের অনেক মানুষ লুকিয়ে চুরিয়ে বর্ডার টপকে পেট্রল নিয়ে দেশে ফিরছে। অনেকে ধরাও পড়ছে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রবলের জওয়ানদের হাতে যাদের সীমান্তে মোতায়েন করা আছে।
মজার কথা হল যে নেপাল কিন্তু ভারতের থেকেই পেট্রল নেয়। চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে নেপালের জন্য তেল কেনে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। যে দামে কেনা হয়, সেই দামেই নেপালে বিক্রি করা হয়। এরপর পরিশোধন করে সেই তেল বাজারে বেচে নেপাল। ভারতের মতো অত কর চাপানো হয় না। তাই অনেক সস্তায় তেল পাওয়া যায় নেপালে।
তবে যেভাবে পেট্রল পাচার হচ্ছে, তাতে বিহারের কিছু জেলায় বিক্রির ওপর প্রভাব পড়ছে বলে স্থানীয় পাম্প মালিকরা বলছেন। এবার সেই নিয়ে সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। এসএসবি-র ডিজি এসকে সারেঙ্গি বলেছেন যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সীমান্তে। সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।
সমস্যা হল বিহার থেকে অনেক ভিতরের রাস্তা দিয়ে সাঁকো পেরিয়ে সহজেই নেপালে প্রবেশ করা যায়। তাই যতদিন ভারতে গগনচুম্বী থাকবে তেলের দাম, আদৌ এই বিষয়টি আটকানো যাবে কিনা, সেই নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।