করোনা পরিস্থিতির জের ।এই পরিস্থিতিতে দেশে সোনার গয়না কেনার চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে।তাই এবার গ্রাহকদের কিনতে আগ্রহী করতে সোনার দামের ওপর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিলাররা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে হিসাব করতে শুরু করলে এই ছাড় সর্বাধিক।প্রায় আউন্স প্রতি ১২ ডলার। গত সপ্তাহেই যেখানে এই ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১০ আউন্স।
সোনা আমদানির সঙ্গে যুক্ত মুম্বইয়ের এক ডিলার জানান, স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখন একটা বিষয়ে বেশি খোঁজ রাখছেন, লকডাউন উঠল কি উঠল না। বিভিন্ন রাজ্যে একই অবস্থা।কোথায় কোথায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে, এখন সেই খোঁজই রাখছেন ব্যবসায়ী।তাঁদের নতুন অর্ডার দেওয়ার আগ্রহ নেই।’ ডিলারদের মতে, স্থানীয় বাজারে সোনা গয়না কেনার ওপর চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ও বিদেশে সোনার দামে বদল আসার পর থেকেই ডিলাররা সোনার দামে ছাড় দিতে শুরু করেছে।
এবারে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও সোনার দোকান খুলে রাখার ওপর ছাড় দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। রাজ্যে সর্বত্র সোনার দোকান খুলে রাখার ওপর ছাড়পত্র দেওয়া হলেও ক্রেতা নেই। অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কেবল দোকান খুলে বসে রয়েছেন। তবে ক্রেতাদের দেখা নেই। সোনার দোকানের মালিকদের কথায়, শুধু দোকান খুলছি আর বন্ধ করছি। কোনও ক্রেতাই হচ্ছে না। কিছুদিন আগেই রাজ্যে অক্ষয় তৃতীয়া হয়ে গেল। এবারে অক্ষয় তৃতীয়াও নমো নমো করে পালন করতে হয়েছে বাংলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।
শুধু ভারতেই নয়, সোনা কেনায় চাহিদা কমেছে করোনার আঁতুরঘর সেই চিনের বাজারেও। ব্যবসায়ীদের মতে, করোনার সংক্রমণ নতুন করে বাড়ায় সোনা কেনায় চাহিদা কমেছে। সোনার দামের ওপর ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।আগামী দিনে এই সোনার দামের ওপর ছাড় আরো বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।