বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Hijab Row Verdict: কলেজে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা বহাল কর্ণাটক হাই কোর্টের, খারিজ সব পিটিশন

Hijab Row Verdict: কলেজে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা বহাল কর্ণাটক হাই কোর্টের, খারিজ সব পিটিশন

হিজাব পরে মুম্বইতে আন্দোলনে মহিলারা(REUTERS) (REUTERS)

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই উত্তাল কর্ণাটক।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই উত্তাল কর্ণাটক। মামলাটি কর্ণাটকে হাই কোর্টে গড়িয়েছিল। আজ সেই মামলার রায়দান ছিল। আর সেই রায়দানে আজকে কর্ণাটকের উচ্চ আদালত হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে পিটিশনগুলি দায়ের করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে। আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছে, হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় রীতি নয়। আবেদনকারীদের এর আগে অভিযোগ ছিল, হিজাব নিষিদ্ধ করে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি ছিল, হিজাব পরা ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলক। তবে আবেদনকারীদের সেই দাবিকে নাকচ করে দিল উচ্চ আদালতের বেঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বলেছে, স্কুল বা কলেজগুলির পূর্ণ অধিকার রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম নির্ধারণ করার।

এদিকে হিজাব মামলার রায়দানের আগের থেকেই কর্ণাটকের বিভিন্ন স্থানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রায়দান হতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, ‘আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। আমি সকলের কাছে আবেদন করছি যে রাষ্ট্র ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সবাইকে হাইকোর্টের আদেশ মেনে শান্তি বজায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক কাজ হল পড়াশুনা করা। তাই এসব বাদ দিয়ে তাদের পড়াশুনা করা উচিত এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, কর্ণাটকের বিভিন্ন কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ হতেই হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমেছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে সেরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তারইমধ্যে একগুচ্ছ আবেদন দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে চলা মামলাটিরই রায়দান হল আজ। এর আগে কর্ণাটক হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে  হিজাব ও গেরুয়া শাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।

বন্ধ করুন