হিমাচল প্রদেশে এই মুর্হুতে কংগ্রেসের অবস্থা সঙ্কটজনক। ৬ কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে সেখানে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে কংগ্রেস সরকার। যদিও পরে ওই বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণা করেছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। ওই ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। এই অবস্থায় দলত্যাগী ৬ নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি বলেছেন, এই সমস্ত দলত্যাগী নেতাদের গ্রেফতার করা হবে। একই সঙ্গে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে তিনি দাবি করেছেন, ২০২৭ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে কংগ্রেস সরকার থাকবে হিমাচলে। আরও তারপরেও কংগ্রেস পুনরায় সরকার গঠন করবে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা কম বলে লড়তে অস্বীকার হিমাচল রাজ্য সভাপতি প্রতিভার
লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সিমলা থেকে সোমবার মনোনয়ন জমা দেন কংগ্রেস প্রার্থী বিনোদ সুলতানপুরি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে চৌরা মাঠে কংগ্রেসের তরফে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের নেতৃত্ব। সেই জনসভাতে কংগ্রেস ত্যাগী ৬ বিধায়ককে তীব্র আক্রমণ করেন সুখবিন্দর। সেখানে তিনি দলত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘৬ বিদ্রোহী বিধায়ক টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। অথচ ২০২৪-২৫ সালের বাজেট পেশ করার পর তাঁরাই সরকারের প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু, বিজেপির প্রলোভনে পা দিয়ে তাঁরা বিক্রি করে দিয়েছেন।’
বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের কাছে জনগণের শক্তি রয়েছে। এই লড়াই মুখ্যমন্ত্রীর পদ বা সরকার বাঁচানোর লড়নায় নয়, বরং দুর্নীতিবাজদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য লড়াই, সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার লড়াই। বিজেপি নেতারা সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য অর্থ শক্তির বলে ষড়যন্ত্র করছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, এই নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করে সমগ্র দেশের মধ্যে একটি উদাহরণ তৈরি করায় উপযুক্ত জবাব হবে। মানুষ কংগ্রেসকে জয়ী করবে বলেই তিনি আশাবাদী।
সুখবিন্দর জানান, এই সমস্ত দুর্নীতিবাজদের জেলে ভরা হবে। একইসঙ্গে তার সরকার আরও সাড়ে ৩ বছর থাকবে এবং ২০২৭ সালে আবার ক্ষমতায় আসবে। প্রসঙ্গত, ৬ বিদ্রোহী বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণা করার পরেই ওই কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে। এই রাজ্যে লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট গ্রহণ হবে শেষ দফায় অর্থাৎ ১জুন।