ভারী বৃষ্টিতে বেহাল দশা হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীরে। বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও। এর জেরে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র হিমাচলপ্রদেশেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হিমাচলে এখনও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে আজ পর্যন্ত হিমাচলে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। এই আবহে হিমাচল সরকারের উদ্দেশে এক বার্তায় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘হিমাচলপ্রদেশে ভূমিধস, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দুর্ঘটনার খবর খুবই দুঃখজনক। এই আবহে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাসাধ্য সাহায্য করুক রাজ্য সরকার।’
জানা গিয়েছে, বৃষ্টি, ভূমিধস এবং মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচলের মাণ্ডি, কাংড়া এবং চম্বা জেলা। এরমধ্যে মাণ্ডি জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের ৮ জন। চম্বা জেলার বানেত গ্রাম পঞ্চায়েতে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশু-সহ দম্পতির। এদিকে কাংড়া জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে জলের তোড়ে ভেঙে যায় ব্রিটিশ আমলের একটি রেল সেতু।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে খুঁজে পাচ্ছেন না?’ লুকআউট সার্কুলার নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মণীশ সিসোদিয়ার
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে শনিবার হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ লোকজন বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না৷ বালহ, সদর, ঠুনাগ, মাণ্ডি এবং লামাথাচে বহু সংখ্যক গ্রামবাসী তাঁদের বাড়িতে আটকে রয়েছেন। প্রচুর দোকানে জল ঢুকে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে প্রচুর গাড়ি।