গাঁজা চাষ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল হিমাচল প্রদেশ সরকার। নিয়ন্ত্রিতভাবে গাঁজা চাষের অনুমোদন দিল হিমাচলের মন্ত্রিসভা। ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে শিল্প, বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অধ্যায়ন এবং গবেষণার জন্য গাঁজা চাষের অনুমোদন দিয়েছে হিমাচলের মন্ত্রিসভা। হিমাচল প্রদেশ মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুমোদন করেছে। দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রিতভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই চাষের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর তুষারপাত হিমাচল ও কাশ্মীরে, কুলুতে বরফ সরিয়ে উদ্ধার ৫০০০ পর্যটক
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখুর নেতৃত্বে হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রিসভা এবিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। পালামপুরের চৌধুরী সারওয়ান কুমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. ওয়াই.এস. পারমার হর্টিকালচার নৌনি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গাঁজা চাষ করতে পারবে বলে অনুমোদন করা হয়েছে। এই গবেষণা ভবিষ্যত পরিকল্পনার মূল্যায়ন করবে এবং সুপারিশ করবে যেমন কোন জাতের গাঁজা কী পরিমাণে চাষ করা উচিত। ঔষধি ও শিল্প খাতে সর্বোত্তম চাষ পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য প্রয়োগ নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে।
মন্ত্রিসভা এই উদ্যোগের জন্য কৃষি বিভাগকে নোডাল বিভাগ করেছে। কৃষিমন্ত্রী চন্দ্র কুমার বলেছেন, ‘আমরা উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মতো একই পথ অনুসরণ করেছি। চিকিৎসা ক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে গাঁজার নিয়ন্ত্রিত চাষ অনুমোদন করা হয়েছে। ন্যূনতম নেশাজাতীয় গুণসম্পন্ন বীজ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করে চাষ করা হবে।’
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশ এনডিপিএস রুলস-এর ধারা ২৯ সহ নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস (এনডিপিএস) অ্যাক্ট, ১৯৮৫-এর ধারা ১০ এবং ১৪-এর অধীনে চিকিৎসা ক্ষেত্র, বৈজ্ঞানিক এবং শিল্প উদ্দেশ্যে গাঁজা চাষ নিষিদ্ধ রয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে হিমাচল প্রদেশ সরকার রাজস্ব মন্ত্রী জগৎ সিং নেগির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটি গাঁজা চাষ বৈধ করার জন্য খতিয়ে দেখে। কমিটি উল্লেখ করেছে যে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরে গাঁজার নিয়ন্ত্রিত চাষ করা হয়। সেই রিপোর্ট পেয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে হিমাচল সরকার। কমিটি অনুমান করেছে, যে রাজ্যটি প্রাথমিক বছরেই এই চাষ থেকে ৪০০-৫০০ কোটি রাজস্ব তৈরি করতে পারে।