মা হওয়ার সঠিক সময় ২২ থেকে ৩০ বছর। এর জন্য সঠিক সময়ে বিয়ে করা উচিত বলে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানান, বাল্যবিবাহ এবং সময়ের আগেই মেয়েদের মা হওয়া রুখতে তাঁর সরকার সকল ধরনের পদক্ষেপ করছে। একটি সরকারি অনুষ্ঠানে শনিবার হিমন্ত বলেন, 'আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হবে। কারণ, ১৪ বছরের কম বয়সের মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। তা সে যতই সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়ে থাকুক না কেন।'
এদিকে মহিলাদের মা হওয়ার জন্য বেশি অপেক্ষা করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'মহিলাদের মা হওয়ার জন্য খুব একটা অপেক্ষা করার ঠিক নয়। ২২ থেকে ৩০ বছরই হল মা হওয়ার সঠিক বয়স। এর পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে মহিলারা মা হতে অনেক সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকেন। কিন্তু এটা সঠিক নয়। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।' পাশাপাশি হিমন্ত আরও বলেন, 'প্রাপ্তবয়স্ক যে মহিলারা এখনও বিয়ে করেননি, তাঁরা দ্রুত বিয়ে করে ফেলুন।'
উল্লেখ্য, গত সোমবারই অসমের মন্ত্রিসভার তরফে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে করা পুরুষদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, অসমে মা এবং শিশু মৃত্যু কমাতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অকালে শিশু ও মহিলাদের মৃত্যুর নেপথ্যে বাল্যবিবাহই আছে বলে মনে করছে সরকার। এই আবহে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, যেসব পুরুষ ১৪-১৮ মধ্যে মেয়েদের বিয়ে করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, 'আমরা দ্রুত চিকিৎসা পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করছি। আরও নার্স ও ডাক্তার নিয়োগ করছি। একই সময়ে, মা এবং শিশু মৃত্যুর উচ্চ হারের ফলে অন্যান্য সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে।'
হিমন্ত আরও বলেছেন যে কেরলের মতো অসম সরকারও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেবে। কীভাবে রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে আরও ভালো ভাবে আচরণ করা হয় তা সেখানো হবে নার্সদের। তিনি বলেন, 'আমরা তাদের ইংরেজি, কম্পিউটার শেখাব এবং কীভাবে ভালো আচরণ করতে হয় সে সম্পর্কে একটি কোর্সও শিখিয়ে দেব। এটি তাদের দক্ষ শ্রমিকে রূপান্তরিত করবে এবং সিঙ্গাপুর এবং জাপানের মতো দেশে চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে।' হিমন্ত বলেন, 'বেশিরভাগ ক্ষেতর্রে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েরাই নার্সের চাকরি নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা দরিদ্র রোগীদের সাথে অন্যায় আচরণ করেন।'