দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান আম আদমি পার্টি নেতা মণীশ সিসোদিয়া শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি গুরুত্র অভিযোগ করলেন। সিসোদিয়ার অভিযোগ, ২০২০ সালে কোভিড মহামারি চলাকালীন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর স্ত্রীর সংস্থাকে বেআইনি ভাবে পিপিই কিটের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও এই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিমন্ত এবং তিনি সিসোদিয়াকে পালটা দেগে বলেছেন যে তিনি শীঘ্রই আপ নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন।
এর আগে সিসোদিয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলন যে অসম সরকার যেখানে অন্য সংস্থা থেকে ৬০০ টাকায় এক এখটি পিপিই কিট কিনেছিল, সেখানে জরুরি অবস্থার ফায়দা তুলে অসমের বিজেপি নেতার স্ত্রী এবং তাঁর ছেলের সংস্থাকে বেশি দামে পিপিই কিটের বরাত দেওয়া হয়েছিল। যদিও হিমন্তের স্ত্রী রিনিকির সংস্থার নাকি এর আগে কোনও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির অভিজ্ঞতাই ছিল না।
এর আগে ‘দ্য ক্রস কারেন্ট’ নামক পোর্টালের সঙ্গে মিলে ‘দ্য ওয়্যার’ একটি খবর প্রকাশ করে দাবি করেছিল, কোভিড অতিমারির সময়কালে যে চারটি সংস্থাকে পিপিই কিটের বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে তিনটি সংস্থারই যোগ ছিল হিমন্তের স্ত্রীর। রিপোর্টে দাবি করা হয়, কোভিড অতিমারির সময় পাঁচ হাজার পিপিই কিট সরবরাহ করার বরাত দেওয়া হয়েছিল জেসিবি ইন্ডাস্ট্রিজকে। এই সংস্থাটি রিনিকির। কোম্পানিটিকে টেন্ডারিং প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন-অসম এই অর্ডার দিয়েছিল। রিপোর্টে দাবি করা হয়, জেসিবি ইন্ডাস্ট্রিজ আগে কোনওদিন চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করেনি। তা সত্ত্বেও এই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে।
যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিনিকি ভুইঞাঁ শর্মা টুইটারের একটি পোস্টে লেখেন, ‘এনএইচএমকে আমার পিপিই কিট সরবরাহের বিষয়ে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে দ্য ওয়্যার নামক একটি ওয়েবসাইট।’ তিনি জানান, ২০২০ সালে যখন করোনা অতিমারির ঢেউ আছড়ে পড়েছিল তখন অসমে একটিও পিপিই কিট ছিল না। তখন ‘অনেক কষ্ট’ করে পরিচিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৫০০ পিপিই কিট জোগাড় করেছিলেন। হিমন্ত পত্নীর দাবি, কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালন করতেই সেই পিপিই কিট দিয়েছিলেন এনএইচএমকে। তাঁর দাবি পিপিই কিটের সরবরাহের জন্যে এক পয়সাও নেননি। এরপরও সিসোদিয়ার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মানহানি মামলা রুজুর হুঁশিয়ারি দিল।