ফ্রান্সের হামলা নিয়ে গুজব, বাংলাদেশে পোড়ানো হল হিন্দুদের বাড়ি, সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারির নির্দেশ

হিংসাত্মক ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই পাঁচজনের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকার রাস্তায় চলছে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (ছবি সৌজন্য রয়টার্স)

মুসলিমদের অপদস্থ করে নাকি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। আর সেই গুজবকে ঘিরে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় একাধিক হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল কট্টরপন্থী মুসলিমরা। সেই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ফ্রান্সে শিক্ষকের মাথা কেটে নেওয়ার পর ‘অমানবিক মতবাদ’-এর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ যে পদক্ষেপ করেছেন, তার নাকি প্রশংসা করেন সেদেশে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি। সেই পোস্ট নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার ফলে শনিবার থেকে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। রবিবার তা রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে একাধিক বাড়িতে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

সেই ঘটনার বিষয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপ-জেলার গ্রামবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পিটিআই। নিজেকে লক্ষ্মীবাবু হিসেবে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি জানিয়েছন, রবিবার ন'টি বাড়ি এবং দুটি মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

কুমিল্লার পুলিশ প্রধান সইদ নুরিল জানিয়েছেন, 'সরকার-বিরোধী রাজনৈতিক দলের' যুব সদস্যরা সেই হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেড় বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। যারা   তিনি বলেন, ‘আপাতত তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং সেই ঘটনায় আরও দুটি মামলার দায়ের করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা সরকারের তরফে সন্দেহভাজন যে কাউকেই গ্রেফতার করার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিযেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসুদুজ্জামান খান কামাল।