ফের হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে সরব হিন্দু মহাসভা। হিন্দু মহাসভার উদ্যোগে ভুপালে সিমপোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছিল। মহাত্মার আদর্শ ও চিন্তাভাবনা, তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ও নারায়ণ রাও আপ্তে প্রসঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন হিন্দু মহাসভার পদাধিকারীরা। সেখানেই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি তুলেছে হিন্দু মহাসভা। সংগঠনের জাতীয় সহ সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ভারতের জাতির জনক ছিলেন না, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের। আত্মত্যাগের তুলনায় তিনি আমাদের দেশের ক্ষতিটাই বেশি করেছেন। গডসে ও আপ্তে মহম্মদ আলি জিন্নাহকে খুনের চেষ্টাও করেছিলেন। গোয়ালিয়রে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কারন দেশ ভাগের জেরে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্য জিন্নাহও দায়ী ছিলেন।’
এদিনের সিম্পোজিয়ামে হিন্দু মহাসভার সদস্যরা সদস্যরা নারায়ণ রাও আপ্তে ও নাথুরাম গডসেকে সম্মান জানিয়েছেন। যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁদের নাম পাঠবইতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও তারা তুলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি শাসিত রাজ্যের কাছে এই দাবি রাখবেন। জয়বীর ভরদ্বাজের দাবি, বীর সাভারকর ও ভাই পরমানন্দের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছেন। কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশভাগকে সমর্থন করে গান্ধিজী সেই সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকেও ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। শর্ত সাপেক্ষে কিছু চাইনি। আরও ৪০ বছর হয়তো আমাদের লড়াই করতে হত, কিন্তু ইংরেজের শর্ত মেনে নিয়ে গান্ধী ভারত মাকেই ভাগ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, হিন্দু রাষ্ট্র করা মানে মুসলিমদের সমস্যা তৈরি করা নয়। আমরা তাদেরও সম্মান ও অধিকার দিতে চাই। কিন্তু হিন্দুদের অধিকার হরণ করার কোনও অধিকার তাদের থাকবে না। বিজেপি হিন্দুমহাসভার কন্যা। দাবি সংগঠনের।