সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। তারপরেই সেখানকার হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপর নেমে এসেছিল অত্যাচার। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও। এবার বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কারণ হিসেবে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলেছেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন:‘আরও কঠোর আইন আনা জরুরি’, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুখেন্দুর
রবিবার আমদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা ২৭ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।’ এরপরেই হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ নেই উল্লেখ করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘বাকিরা কোথায় গেল? তাদের হয় জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল নয়তো ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের কি ধর্ম অনুযায়ী বাঁচার অধিকার নেই? যদি তারা প্রতিবেশী দেশে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে না পারে এবং আশ্রয় চায় আমাদের দেশে আমরা নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারি না। আপনি ন্যায়বিচার পাবেন।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আসা ১৮৮ জন হিন্দু শরণার্থীকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার অনুষ্ঠানে একথা বলেন অমিত শাহ। এদিনও তিনি সিএএ নিয়ে বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মূল লক্ষ্য হল- শরণার্থীদের অধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রদান করা। মুসলিম সম্প্রদায়কে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে কারও নাগরিকত্ব বাতিল হবে না।
বক্তৃতার সময় শাহ তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অতীতে অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধভাবে নাগরিক বানানো হলেও যারা আইন মেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিল তাদের প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। যারা তাদের বোন-কন্যা এবং সম্পত্তি বাঁচাতে এখানে এসেছিল তাদের কী দোষ ছিল? তারা এই দেশের নাগরিক হতে পারেনি।’ একইসঙ্গে, তিনি ভারতব্যাপী শরণার্থীদের ভয় ছাড়াই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানান। তাদের আশ্বস্ত করেন যে প্রক্রিয়াটি তাদের জীবিকা বা সম্পত্তিকে প্রভাবিত করবে না।