ক্ষমাই ধর্ম। এই মতেই বিশ্বাস। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় শতাব্দী প্রাচীন কৃষ্ণ মন্দির আগুনে ভষ্মীভূত করেছিল উন্মত্ত কট্টরপন্থীরা। এরপরেও তাঁদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হবে বলে জানাল সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
এ বিষয়ে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন পাখতুনখোয়ার মৌলবীরাও। ধর্মান্ধ একটি শ্রেণীর আচরণের জন্য যাতে তাঁদের ভুল না বোঝা হয়, তার আর্জি করেন ধর্মগুরুরা। এ বিষয়ে আলোচনা হয় পাকিস্তানের হিন্দু গোষ্ঠী ও মৌলবিদের মধ্যে। সেখানে ঘটনার নিন্দাও করেন মৌলবিরা।
এরপরেই নিঃশর্ত ক্ষমা প্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দু গোষ্ঠী। প্রত্যুত্তরে মৌলবীরা জানিয়েছেন যে এরপর থেকে হিন্দুদের ধর্মীয় ক্ষেত্রে এভাবে যাতে আঘাত না হানা হয়, সেদিকে নজর থাকবে।
ধ্বংস হওয়া কৃষ্ণ মন্দিরটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের টেরি গ্রামে অবস্থিত। কট্টরপন্থী মৌলবীদের প্ররোচনায় বিনা কারণে একদল মানুষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর মন্দিরে আক্রমণ করে। ভেঙে গুঁড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। জানা যায় তারা কট্টরপন্থী একটি গোষ্ঠীর সদস্য। শুধু তাই নয়, মন্দির সংলগ্ন একটি সমাধিও ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাশের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয় যে হিন্দুরা ক্ষমা করে দেবেন। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে একটি আর্জি জানানো হবে যাতে ধৃতরা মুক্তি পায়।