ফের বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, অসমের জনবিন্যাস যেভাবে বদলে যাচ্ছে, হিন্দু আর মুসলিমের মধ্যে জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্য়া ৪১ শতাংশ। আর হিন্দু জনসংখ্য়া ৫৭ শতাংশ। আগের থেকে ক্রমশ কমছে। তিনি জানিয়েছেন, অসমের যারা আদিবাসী তারা ক্রমেই আতঙ্কের মধ্য়ে পড়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, অসমের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত নয়। হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্য়ার বিন্যাস দ্রুত বদলে যাচ্ছে। মুসলিম জনসংখ্যা ২০২১ সালে হয়েছে ৪১ শতাংশ আর হিন্দুর সংখ্যা কমে গিয়ে হয়েছে ৫৭ শতাংশ। বাকিটা খ্রীষ্টান আর অন্যান্যদের সংখ্য়া।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, হিন্দুর সংখ্য়া ক্রমশ কমছে। ৬০-৬৫ শতাংশ থেকে কমে গিয়ে হয়ে গিয়েছে ৫০ শতাংশ। তিনি সকলকেই পরিবার পরিকল্পনা মেনে চলার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন একটা সংকটজনক পর্ব চলছে। আমি চাইছি যাতে জনসংখ্য়ার বিন্যাসটা ঠিকঠাক থাকে।
তিনি বলেন, আমি সমস্ত হিন্দু, মুসলিম ও সকলকে বলছি পরিবার পরিকল্পনার নিয়মগুলো মেনে চলুন। তিনি জানিয়েছেন অসমের ১২-১৩ টি জেলায় হিন্দুরা সংখ্য়ালঘু হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১২-১৩টা জেলায় আমরা ক্রমে সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছেন। যদি শক্তিশালী সরকার না থাকে তবে আদিবাসীরা চিরদিন আতঙ্কে ভুগবে। আমি সূর্যের আলো নই, একটা মোমবাতির মতো আশা জাগাতে পারি দেশীর মানুষদের পাশে থাকার ব্যাপারে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটা করে যাব।
এর আগেও এনিয়ে বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী।
এর আগে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী লাভ জেহাদ নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। কোনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী বিল আনা হবে না। সকল ধর্মের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে। এমনটাই জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, কোনও হিন্দু ছেলে যদি কোনও হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে, তাও প্রস্তাবিত ‘লাভ জিহাদ’ আইনের আওতায় পড়বে।
‘লাভ জিহাদ মানে শুধু এটাই নয় যে কোনও হিন্দুর সঙ্গে প্রতারণা করছেন কোনও মুসলিম। এটা হিন্দুদের মধ্যেও হতে পারে। যদি কোনও হিন্দু ছেলে কোনও হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন, তাও একধরনের লাভ জিহাদ (হিসেবে বিবেচিত হবে)। ’ বলেছিলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী।