নিজের গর্ভবতী স্ত্রীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত প্রবেশ করাল ব্যক্তি। ভুল করে নয়, জেনে বুঝেই এই জঘন্য কাজটি করে এম চরণ নামক ৪০ বছর বয়সি ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য অজুহাত প্রয়োজন ছিল তার। এহেন কাণ্ড ঘটায় চরণ। এক হাতুড়ে ডাক্তারের মাধ্যমে নিজের স্ত্রীর শরীরে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত ইনজেক্ট করায় সেই ব্যক্তি। ঘটনার জানাজানি হতেই স্ত্রী নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ চরণের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাকে আটক করেছে।
অভিযোগকারী স্ত্রী জানান, সম্প্রতি তিনি হাসপাতালে যান শারীরিক চেকআপের জন্য। সেখানেই তিনি জানতে পারেন যে তিনি এইচআইভি পজিটিভ। এরপরই নিজের স্বামীর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগকারী জানান, বিয়ের কয়েক বছর পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। তবে ২০১৮ সাল থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে তাঁর স্বামী। তখন থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।
অভিযোগকারী স্ত্রী দাবি করেন, তাঁর স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিশাখাপত্তনমের এক ২১ বছর বয়সি যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর স্বামীর। তাঁর সঙ্গে থাকতেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাইছল সেই ব্যক্তি। এই কারণেই ডিভোর্সের অজুহাত খুঁজছিল স্বামী। এই আবহে স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে যায় সেই ব্যক্তি। স্ত্রীর অভিযোগ, চরণ তাঁর কাছে দাবি করে যে তাঁর শরীর ভালো রাখার জন্য একটি ইনজেকশন দেওয়া হবে। তবে আদতে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত ইনজেকশন দেওয়া হয় সেই মহিলাকে।