ভারতে ক্রমাগত বাড়ছে এইচএমপিভিতে আক্রান্তের সংখ্যা। কিছুদিন আগে, ভারতে প্রথম এইএমপিভি আক্রান্তের হদিশ মেলে কর্ণাটকে। সেরাজ্যে ২ শিশুর দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। কয়েক মাসের সেই শিশুরা ছাড়াও, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর উঠে আসে। ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই এবার এক বর্ষীয়ানের দেহে মিলল এইএমপিভি ভাইরাসের হদিশ।
রিপোর্ট বলছে, ৮০ বছর বয়সী এক বর্ষীয়ানের দেহে সদ্য মিলেছে এইচএমপিভি ভাইরাসের হদিশ। তিনি গুজরাটের বাসিন্দা। বুধবারই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। এর আগে, তাঁর উপসর্গগুলির সঙ্গে এইচএমপিভির উপসর্গ মিলতেই তাঁর টেস্ট করানো হয়। আর টেস্টে তিনি পজিটিভ হন। এদিকে, এই নিয়ে একাধিক রাজ্য থেকে আসতে শুরু করেছে এইচএমপিভিতে আক্রান্তদের খবর। প্রথম দিনেই কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাটে বেশ কয়েকটি শিশুর দেহে এই রোগের হদিশ মিলেছিল। এরপর এই বর্ষীয়ানের খবর ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ভারতে অন্তত ৯ জনের দেহে মিলল এই ভাইরাসের সন্ধান। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে সজাগ থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে, তবে অযথা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া থেকে বিরত থাকারও কথা বলেছে কেন্দ্র। এদিন গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল বলেন,' এইচএমপিভি ভাইরাস ২০০১ সালে পাওয়া গিয়েছিল এবং আজও পাওয়া যায়। শ্বসনতন্ত্রে যে কয়টি ভাইরাস পাওয়া যায় তার মধ্যে এটি একটি। গুজরাট সরকার একটি পরামর্শ জারি করেছে।' উল্লেখ্য, ইউএস সিডিসির তথ্য বলছে, ‘এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ে শীতকালে, আর থাকে বসন্ত পর্যন্ত।’
( Weekly Rashifal Lucky Zodiac Signs: ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারির সপ্তাহে কোন ৪ রাশি লাকি? জ্যোতিষমত রইল)
কীভাবে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস?
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নানানভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় আক্রান্তের হাঁচি কাশির থেকে ড্রপলেট বা এয়রোসোল ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। এছাড়াও আক্রান্তের ছোঁয়াচ থেকেও এটি ছড়াতে পারে। যে জায়গায় এই ভাইরাসের আনাগোনা রয়েছে সেটি ছোঁয়ার পর হাত মুখে, চোখে, নাকে দিলে সেখান থেকেও ছড়াতে পারে।
উপসর্গ ও ঝুঁকি:-
এইচএমপিভি নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে শিশু ও বর্ষীয়ানদের। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলা বা যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদেরও সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। তবে এইচএমপিভি থেকে কোনও বড়সড় গুরুতর সংক্রমণ ছড়ায় না বলে জানানো হচ্ছে। এটি খুবই সাধারণ। এছাড়াও যে উপসর্গগুলি এইচএমপিভিকে ঘিরে উঠে আসে, তারমধ্যে রয়েছে, সর্দি, কাশি। নাক বন্ধ থাকা। অনেক সময় হালকা জ্বর ও মাথার যন্ত্রণা।