বিগত ৬ দিনে ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির প্রায় ৭০টি বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। ধারাবাহিক ভাবে এই বোমাতঙ্কের জেরে উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই আবহে বোমতঙ্ক ইস্যুতে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হল শনিবার। ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির উচ্চপদস্থ কর্তারা। এরই মাঝে জানা গিয়েছে, উড়ো হুমকি বার্তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, ইন্ডিগো এবং আকাশা এয়ার। (আরও পড়ুন: ৬ দিনে ৭০ ভারতীয় বিমানে বোমাতঙ্ক, এক একটি হুমকিতে কত কোটির ক্ষতি হয় জানেন?)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে CRPF স্কুলের সামনে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল দেওয়াল, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান-গাড়ি
আরও পড়ুন: নিজেরা পায়নি প্রমাণ, নিজ্জর খুনে এখন FBI-এর 'ওয়ান্টেড' বিকাশকে 'টানছে' কানাডা
এই হুমকিগুলির জেরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জনা গিয়েছে। তাদের কমপক্ষে সাতটি ফ্লাইট বোমা হামলার হুমকি পেয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার অন্তত দুটি বিমানও একই ধরনের হুমকি পেয়েছে। এর জেরে মুম্বাই থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানকে এসকর্ট করে হিথ্রো বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়েছিল রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি যুদ্ধবিমান। এদিকে বিমান সংস্থা ভিস্তারার ছয়টি ফ্লাইটকেও উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বার্তা এসেছিল। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল সিঙ্গাপুর, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও কলম্বো থেকে আন্তর্জাতির উড়ান। সব মিলিয়ে ভিস্তারার ৫টি আন্তর্জাতিক উড়ান হুমকি পেয়েছিল। এদিকে ইন্ডিগোর ২টি আন্তর্জাতিক উড়ান সহ পাঁচটি উড়ান বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেয়েছিল। এদিকে এই ধরনের হুমকি এলে এক একটি উড়ানের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বেসিকের ১০০% পর্যন্ত অতিরিক্ত 'ভাতা' মিলবে এবার, নির্দেশিকা জারি সরকারের)
আরও পড়ুন: বাংলার দিকে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'! কবে কোথায় হবে ভারী বৃষ্টি?
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ-অভিজিতের 'কীর্তি' ফাঁস, CBI-এর হাতে 'মুছে ফেলা' প্রমাণ
এদিকে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির ডিরেক্টর জেনারেল জুলফিকর হাসানের নেতৃত্বে এই বিষয়ে দিল্লিতে একটি বৈঠক হয় শনিবার। উৎসবের মরশুমে পরপর এই ধরনের বোমাতঙ্কের ঘটনায় সংস্থাগুলি যে কী সমস্যায় পড়ছে, তা তুলে ধরা হয় বৈঠকে। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনার জেরে যদি পরপর উড়ান বিলম্বিত হয় বা বাতিল হয়, তাতে বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে। তা নিয়েও কথা হয় বৈঠকে। এই আবহে বৈঠকে বিসিএসি-র ডিজি জুলফিকর হাসান নাকি উড়ান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত সকল নিয়মাবলি যেন কঠোর ভাবে পালন করা হয়। এদিকে হাসান জানান, এই হুমকির মূল উৎসে পৌঁছতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়েছে। এদিকে যাত্রীদের মধ্যে যাতে আতঙ্কের সঞ্চার না ঘটে, সেই কারণে হাসান বিবৃতি দেন বৈঠকের পরে। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় যে যে নিরাপত্তাজনিত প্রোটোকল মেনে চলতে হয়, তা অত্যন্ত কঠোর। এই আবহে বিমানযাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।