মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রাণনাশের হুমকি সংক্রান্ত একটি ফোন এসেছিল পুলিশের কাছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তবে পরে জানা যায় প্রাণনাশের হুমকি সংক্রান্ত সেই ফোন ভুয়ো ছিল। এক ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় এই ফোন করেছিলেন। এক হোটেল মালিকের উপর আক্রোশের কারণেই এই ভুয়ো ফোন করেছিলেন। অভিযুক্ত অবিনাশ ওয়াঘমারেকে পুলিশ আটক করে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, লোনাভলাতে একটি হোটেলে জলের দাম বেশি নেওয়া হয়েছিল অবিনাশের থেকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিশোধ নিতে মত্ত অবস্থায় পুলিশকে ফোন করেন অবিনাশ। পুলিশকে অবিনাশ বলেন, ‘লোনাভলার এক হোটেলে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ছক কষা হচ্ছে।’ পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ফোনটি ভুয়ো ছিল। সংশ্লিষ্ট হোটেল মালিকের সঙ্গে অবিনাশের বচসা হয়েছিল। সেই কারণে প্রতিশোধ নিতে সে এই কাণ্ড ঘটনায়।
জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে সাংলি যাওয়ার পথে লোনাভলাতে এক হোটেল থেকে জলের বোতল কেনেন অবিনাশ। তবে এমআরপি থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয় তাঁর থেকে। এরপরই হোটেল ‘সাই কৃপা’র মালিক কিশোর পাতিলের সঙ্গে বচসায় জড়ান অবিনাশ। সেই সময় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এরপর হোটেল মালিককে ফাঁসাতে ‘১১২’ নম্বরে ফোন করে অবিনাশ দাবি করেন যে ‘সাই কৃপা’ হোটেলে মুখ্যমন্ত্রী খুন করার ছক কষা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ২টো ৪৮ মিনিট নাগাদ লোনাভালা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে। একটি অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে দাবি করা হয় যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে খুন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উড়ো ফোন পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে পুলিশ। দ্রুত মোবাইল নম্বর ট্রেস করে অবিনাশের খোঁজা পায় পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল তথ্য জানতে পারে পুলিশ।