লকডাউনে যেসব সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল নির্মাণ শিল্প। উৎসবের মরশুমে চাহিদাকে চাঙ্গা করার জন্য অনেক ব্যাঙ্কই গৃহঋণে সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে। গত পনেরো বছরের মধ্যে এত কম সুদে গৃহঋণ পাওয়া যায় নি।
শুধু কম হারই নয়, প্রসেসিং ফি সহ বিভিন্ন খরচায় ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। মহিলা গ্রাহকদের জন্য থাকছে বিশেষ অফার। ANAROCK Property Consultants-এর ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার জানিয়েছেন বাড়ির ঋণের ওপর সুদের হার এখন পনেরো বছরের মধ্যে সর্বনিম্ম। প্রপার্টির দাম খুবই পড়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ও অফার পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রপার্টি কেনার এটাই সেরা সময় বলে তিনি মনে করেন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন ব্যাঙ্কের দেওয়া অফার-
এসবিআই- ৩০ লাখ অবধি লোনে এখন ৬.৯০ শতাংশ হারে সুদ নিচ্ছে ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। ৩০ লাখের উর্ধ্বে দিতে হবে ৭ শতাংশ সুদ। সিবিল স্কোর ভালো থাকলে ৭৫ লাখের ওপর ঋণে ২৫ বেসিস পয়েন্টের ছাড় মিলবে সুদে।
যারা YONO অ্যাপ দিয়ে অ্যাপ্লাই করবেন তারা পাবেন ০.০৫ শতাংশ ছাড়। মহিলা গ্রাহকরাও পাবেন ০.০৫ শতাংশ। ৩০ লাখ থেকে ২ কোটির মধ্যে ধার নিলে ০.২ শতাংশ ছাড় মিলবে। আটটি মেট্রো শহরের বাসিন্দারা ৩ কোটির নিচে ঋণ নিলেও পাবেন এই ০.২ শতাংশ ছাড়।
কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক - এখন গ্রাহকদের থেকে ৬.৯ শতাংশ হারে গৃহঋণে সুদ নিচ্ছে কোটাক মহিন্দ্রা। অন্য ব্যাঙ্ক থেকে কেউ লোন সরালে, তাদের অনেকটা টাকা বাঁচানোর সুবিধা আছে। মহিলা আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুযোগ।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া- ৩০ লাখের ওপর গৃহঋণে সুদের হার কমেছে ১০ বেসিস পয়েন্ট। এছাড়াও মহিলা ধারকরা অতিরিক্ত ৫ বেসিস পয়েন্ট ছাড় পাবেন। ন্যূনতম সাত শতাংশ হারে গৃহঋণ দেয় ইউবিআই। ৩১ ডিসেম্বর অবধি কোনও প্রসেসিং ফিজ লাগবে না।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক গৃহঋণে ৬.৯ শতাংশ সুদ নিচ্ছে। একই সুদের হার নিচ্ছে এইচডিএফসি। সেখানে আবার ০.৫ শতাংশ প্রসেসিং ফিজ দিতে হবে, যদিও সেটার সর্বোচ্চ মূল্য হল তিন হাজার টাকা। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ৬.৯৫ থেকে ৭.৯৫ শতাংশ হারে ঋণ দিচ্ছে।