কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক রোমে বিশ্বশান্তি সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রায় ছাড়পত্র দেয়নি। তা নিয়ে বেজায় চটেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অথচ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে রবিবার ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, মাওবাদী–নকশাল অধ্যুষিত রাজ্যগুলিকে নিয়েই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
গত একবছরে সুকমা–দান্তেওয়ারার একের পর এক ঘটনা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চলে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তারা। এই নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই রবিবার বিজ্ঞান ভবনে অনু্ষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। রাজ্যের পক্ষ থেকে আধিকারিকদের সেখানে পাঠাতে পারেন।
একদিকে ঘূর্ণিঝড় গুলাব আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলায়। তাই সেদিকে বাড়তি নজর রাখতেই হবে। আবার রোমে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রায় বাগড়া দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তাঁর মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এছাড়া তিনি এখন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। তাই সেখানের উপনির্বাচনে প্রচার করতে হচ্ছে। সুতরাং এই নানা কারণে তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেই সূত্রের খবর।
নকশাল কার্যকলাপ নিয়ে বৈঠক প্রত্যেক বছরই একবার বা দু’বার হয়। তবে এবার শুধু ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই নন, পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের নিরাপত্তায় মোতায়েন প্যারামিলিটারি ফোর্সের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। বৈঠকে গোয়েন্দা রিপোর্টও ভাগ করে নেবে কেন্দ্র। গত ২২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বস্তারে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয় ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষীর। ৪ এপ্রিল ছত্তিশগড়েরই সুকমা–বিজপুরে আরও ভয়ঙ্কর মাওবাদী হামলা ঘটে। মৃত্যু হয় ২২ জন জওয়ানের। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।