ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। গত আটদিন ধরে নিঁখোজ ছিলেন। বুধবার নিউটাউনের এক অভিজাত আবাসন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল ভারতে গিয়েছিলেন। তার দুদিন পর থেকে ওনার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। উদ্বিগ্ন হয়ে আনোয়ারুলের পরিবার আমাদের কাছে সাহায্য চায়। তার পর থেকে আমাদের পুলিশ ভারতের পুলিশ সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। আজ আমাদের কাছে খবর আসে খুন করা হয়েছে আনোয়ারুলকে।’
আরও পড়ুন। নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংসদের দেহ উদ্ধার নিউটাউনে, মৃত্যুর কারণ ঘিরে চরমে রহস্য
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পুলিশ তদন্তে নামে। এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আপনারা জানেন ঝিনাইদহ এলাকাটি সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা। এইবারে তিনি সেখান থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পরই চিকিৎসা করাতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটে। এই ঘটনার তদন্তে ভারত আমাদের সবরকমভাবে সাহায্য করছে। আমরা এখন এইটুকুই বলতে পারি কলকাতার একটি বাড়িতে ওনাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কী কারণে তাঁকে খুন করা হল তা জানতে ভারতের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন। বাড়ির লেটার বক্সে চিঠি ফেলে গৃহত্যাগ স্কুলপড়ুয়ার, কোথায় গেল? খোঁজ শুরু উত্তরপাড়ায়
ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। নিঁখোজ থাকার সময় সাংসদ কন্যা মমতারিন ফেরদৌস ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে গিয়ে বাবার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন গত রবিবার। মমতারিন জানিয়েছিলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বহু চেষ্টা করেও বাবা আনোয়ারুলের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার হল বাংলাদেশি সাংসদের মৃতদেহ।
যদিও ভারতীয় পুলিশের তরফ থেকে এই খুনের বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন। জমি রামকৃষ্ণ মিশনেরই, মহারাজের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ ভুয়ো, মেনে নিল মমতার পুলিশ