গান্ধী পরিবার পরিচালিত তিনটি ট্রাস্টের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এতে বিভিন্ন মন্ত্রকের সদস্যরা থাকবেন। কমিটির মাথায় থাকবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্পেশাল ডিরেক্টর। সিবিআইকেও এই তদন্তের অংশ করা হয়েছে।
যে তিনটি ট্রাস্টের ওপর কমিটির আতসকাঁচ থাকবে সেগুলি হল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। এদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট ও ফরেন কনট্বিবিউশন অ্যাক্টের কোনও ধারা ভঙ্গ হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। ইডি ও সিবিআই উভয় তদন্ত করবে ও ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর পুরো কমিটির কাজের দেখভাল করবেন।
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ও রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রধান হলেন সনিয়া গান্ধী। ইন্দিরা ট্রাস্টের কাজের দেখভালও তিনি করেন। প্রধানমন্ত্রী আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলের টাকা কিভাবে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন পেল, সেই প্রশ্ন করেছে বিজেপি। একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এই ফাউন্ডেশনে টাকা ঢেলেছে। এতেই দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে শাসক দল।
একই সঙ্গে চিনের কমুনিস্ট পার্টিও এই ফাউন্ডেশনে টাকা দিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ যে ইউপিএ সরকার চিনের সঙ্গে এমন বাণিজ্য চুক্তি করেছিল যাতে ভারতের ক্ষতি হয়। এসব অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। গালওয়ান সংঘর্ষ থেকে নজর সরাতেই বিজেপি এসব বলছে বলে তাদের অভিযোগ। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই তদন্ত নিশ্চিত ভাবেই অস্বস্তি বাড়াবে গান্ধী পরিবারের।