৩৭ বছর বয়সি ঐতিহাসিক মণিকর্ণিকা দত্ত। শিক্ষাবিদ। এবার তাঁকেই ব্রিটেন থেকে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। The Guardian-এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তাঁর হোম অফিস থেকে বলা হয়েছে আপনি অতিরিক্ত দিন ভারতে কাটিয়েছেন আপনার গবেষণার কাজে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার অঙ্গ হিসাবে তিনি ভারতের একাধিক শহরে থাকা আর্কাইভের উপর পড়াশোনা করেছেন ও একাধিক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। তবে হোম অফিসের নিয়ম অনুসারে ১০ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য ইউকেতে আছেন তিনি নির্দিষ্ট নয় এমন দিনের জন্য বাইরে ছুটিতে গেলে সর্বোচ্চ ৫৪৮ দিনের জন্য় যেতে পারেন। কিন্তু ওই ইতিহাসবিদ ৬৯১ দিন বাইরে ছিলেন। এদিকে আরও একাধিক শিক্ষাবিদের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সমস্যা হয়েছে বলে খবর।
তিনি কতদিন বিদেশে ছিলেন তার উপর নির্ভর করে তাঁর ইউকে-তে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে ব্রিটেনে তাঁর পারিবারিক জীবন নেই। তবে তিনি ও তাঁর স্বামী ১০ বছরে বেশি সময় ধরে বিবাহিত ও দক্ষিণ লন্ডনে থাকেন।
তিনি বর্তমানে ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, স্কুল অফ হিস্টরিতে। তিনি এর আগে অক্সফোর্ড ও ব্রিস্টলে গবেষণা করেছেন। স্বামীর সঙ্গে ওয়েলিংয়ে থাকেন।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি( মণিকর্ণিকা দত্ত) জানিয়েছেন, আমাকে যখন মেলটা দেখলাম যে আমাকে চলে যেতে বলা হয়েছে তখন তো আমি শকড। অবজার্ভারকে জানিয়েছেন তিনি। ইউকের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কাজ করেছি। ১২ বছর ধরে এখানে আছি। আমার অ্যাডাল্ট লাইফের বড় অংশ এখানে কাটিয়েছি। মাস্টার্স করতে অক্সফোর্ডে এসেছিলাম। আমি ভাবতে পারিনি আমার সঙ্গে এরকম কিছু হতে পারে।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউকেতে এসেছিলেন তিনি। তখন ছিল স্টুডেন্ট ভিসা। এরপর স্পাউস ভিসা পান। তাঁর আইনজীবীর মতে, ওই গবেষণা সফরগুলি অপশনাল ছিল না। এটা গবেষণা ও প্রতিষ্ঠানের বাধ্য়বাধকতার জন্য আবশ্যকীয় ছিল। তিনি না গেলে থিসিস শেষ হত না।
তবে ওই ইতিহাসবিদ তাঁর সহকর্মীদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাপোর্ট পাচ্ছেন। তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, হোম অফিসের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত আমাদের দুজনের জন্য় খুব স্ট্রেশফুল।…আমি এই ইস্যু নিয়ে মাঝেমধ্য়ে বক্তব্যও রেখেছি। এনিয়ে আর্টিকেল পড়েছি। কিন্তু এটা যে আমাদের সঙ্গে হতে পারে সেটা কোনও দিন ভাবিনি।