গরমে গোটা দেশের অবস্থা নাজেহাল। এরই মধ্যে ধীরে ধীরে চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক, বিরোধী উভয় পক্ষই। গতবছরের শেষ ও এবছরের বছরের শুরুতেই ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে পথে নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে জনসংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিজেপির ভরসা সোশ্যাল মিডিয়া। আর এর জন্যই প্রতিটি সাংসদকে 'হোমওয়ার্ক' দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। জানা গিয়েছে, রোজকার ৯টি এবং সাপ্তাহিক তিনটি কাজ করতে বলা হয়েছে প্রতিটি সাংসদকে। এর মধ্যে রয়েছে রোজ নিয়ম করে সাত থেকে আটটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা।
সম্প্রতি বিজেপির তরফে প্রতিটি সাংসদকে একটি নোট পাঠানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, রোজকার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করতে যদি কেউ অক্ষম হন, তাহলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া টিম নিয়োগ করতে পারেন। ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবে বিভিন্ন পোস্ট করতে বলা হয়েছে। ভিডিয়ো পোস্টের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে পোস্ট করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে যে পোস্ট করা হয়, তা রিটুইট করতেও বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৪ এপ্রিল জেপি নড্ডা এই নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই সাংসদদের দৈনিক ৯টি এবং সাপ্তাহিক ৩টি টাস্ক নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপরই সেই সংক্রান্ত নোট পাঠানো হয়েছিল দলের সমস্ত সাংসদদের।
ডিজিটাল যুগে বিনামূল্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্য বলা হয়েছে সাংসদদের। ২০২৪ সালের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে সাংসদদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য কনটেন্ট দেওয়ার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হবে। এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া কনটেন্ট পোস্ট করতে যাতে বিলম্ব না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সাংসদদের। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদদের উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়টি আদতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এখন ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে রিলস-এর যুগ। জন সংযোগ এবং তথ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সাংসদ থেকে পঞ্চায়েত কর্মীদের এই নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এমনকী সব সাংসদদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ওপর নজর রাখেন মোদী নিজে। কারও ভালো পোস্ট দেখলে তিনি তার প্রশংসা করেন। আবার কারও দায়সারা কোনও পোস্ট দেখলে তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন মোদী। এদিকে বিজেপির মধ্যে অনেক সাংসদ বা নেতা আছেন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ততটা স্বাচ্ছন্দ নন। সেই সব সাংসদরাও নিজেদের বদলাচ্ছেন ২০২৪ সালের আগে।