চোলাই মদ খেয়ে বিহারের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্য়েই অন্তত ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও বিজেপি ও জনতা দল (ইউনাইটেড)এর মধ্যে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে কতটা আন্তরিক নীতীশ কুমার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এবার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা পশ্চিম চম্পারনের সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়াল নীতীশ কুমার সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তবে এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও নীতীশ কুমার ও তার সরকার পরিচালচনা খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের প্রধান সহযোগী বিজেপি।
সূত্রের খবর এর আগেও বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জনতা দলের(ইউনাইটেড) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী গত ৩রা জুন বিজেপি নেতা টুন্নাজী পাণ্ডে মন্তব্য করেছিলেন, নীতীশ কুমার সুযোগ বুঝে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন।তবে পরবর্তী সময় অবশ্য টুন্নাজীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় বিজেপি। তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
তবে বিহারের রাজনীতিতে নানা ইস্যুতে বিজেপি ও জেডইউর মধ্যে বচসা লেগেই আছে। মাদ্রাসায় বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করেও মাদ্রাসাগুলি বন্ধের ব্যাপারে সওয়াল করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর। তবে এনিয়ে আবার জেডইউ নেতা তথা বিধায়ক জামা খান বিরোধিতা করেছিলেন।
এদিকে এবার জাল মদ ইস্যুতে জেডইউ ও বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। জেডইউর মুখপাত্র নীরজ কুমার জানিয়েছেন,মদ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি সর্বদলীয় ব্যাপার ছিল। এটা সরকারি নীতির মধ্যে পড়ে। সরকার সাত দফা প্রতিশ্রুতি পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এনডিএ পার্টনারের সঙ্গেও এনিয়ে কথা হয়। তবে আমরা সবসময় আমাদের সহযোগীদের থেকে ভালোভাবেই মতামত গ্রহণ করি। বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেন. কিছু এনডিএ নেতা তত্ত্বকথা বলছেন। তবে এটাকে দ্বন্দ্ব বলে ধরে নেওয়াটা ঠিক হবে না।