তামিলনাড়ুর এক হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণ হারালেন অন্তত ৬ জন। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও আছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন পুলিশ এবং দমকলের সদস্যরা। তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছিল সেখানে। তবে শেষ পর্যন্ত ৬ জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, যে হাসপাতালে আগুন লাগে, তার নাম - সিটি হসপিটাল। এটি মধ্য তামিলনাড়ুর দিন্দিগুল শহরের ত্রিচি রোডে অবস্থিত।
জানা গিয়েছে, উদ্ধারকাজ চলাকালীন হাসপাতালের লিফটে ৬ জনকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়েছে, ৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে। তবে এরই মধ্যে সেই হাসপাতাল থেকে ৩০ ন রোগীকে নিরাপদে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় দমকল। উদ্ধার হওয়া রোগীদের সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে সরকারি জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। জানা গিয়েছে, এই রোগীদের উদ্ধার করার পরে লিফটে সেই ৬ জন খুঁজে পেয়েছিলেন দমকলকর্মীরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিন্দিগুলের জেলাশাসক এমএন পুঙ্গোডি বার্তাসংস্থা এএনআই-কে বলেন, 'যে হাসপাতালে আগুন লেগেছিল, সেখান থেকে রোগীদের উদ্ধার করে অন্য সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।' এদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ড শর্টসার্কিটের কারণে হয়ে থাকতে পারে। এই অগ্নিকাণ্ডের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের জানলা দিয়ে লগল করে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। এছাড়াও কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে হাসপাতাল থেকে। গোটা এলাকার আকাশ সেই কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে দমকল সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যান। এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তারই মাঝে হাসপাতালে আটকে পড়া রোগীদের উদ্ধারও করা হয়। তবে লিফটে আকে পড়া সেই ৬ জনের দিকে অনেক দেরিতে খেয়াল পড়ে উদ্ধারারীদের।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের নবজাতকদের জন্য নির্ধারি আইসিইউ বিভাগে আগুন লেগেছিল। সেই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও ১৬ জন এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছিল। ঘটনার সময় মৃত শিশুরা সেই সময় ইনকিউবেটরে ছিল। জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় মোট ৪৭ জন শিশু সেই ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল।