কর্ণাটক বিধানসভায় এদিন ধর্মান্তর বিরোধী বিল নিয়ে আলোচনা পর্ব চলার কথা আগেই স্থির হয়েছিল। তবে এদিন কন্নড়ভূমের ভোর শুরু হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনায়। সেরাজ্যে চিকবালপুর এলাকায় এক চার্চে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চিকবালপুরের সুসাইপালেয়া এলাকায় সেন্ট জোসেফ চার্চ ভাঙচুর হয় ।
বেঙ্গালুরু থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের চিকবালপুর যখন এই চার্চ ভাঙচুরের ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্যের মধ্যে, তখন বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটক বিধানসভার অধিবেশনে আলোচনা পর্ব চলেছে ধর্মান্তর বিরোধী বিল নিয়ে। এদিন ভোরে চিকবালপুরের ওই চার্চে যাজক উপস্থিত হলে , তিনি দেখেন ভেঙেচুরে রয়েছে কিছু মূর্তি। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দেখা যায়, বড় পাথরের চাঁই কেউ চার্চের বাইরে থেকে ছুঁড়ে দিয়ে এই ভাঙচুর চালিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৫০ বছরের পুরনো এই চার্চের ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগ পেতেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এদিকে, কর্ণাটক বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এদিন ধর্মান্তর বিরোধী বিল নিয়ে 'ডিবেট' চলে। সোমবারই এই বিতর্কিত বিল পাশ হয় কর্ণাটক বিধানসভায়। আজ ছিল তার আলোচনা পর্ব। প্রসঙ্গত, গোটা কর্ণাটক জুড়ে বহু দিন ধরেই একাধিক ধর্মীয় স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চার্চ ভাঙার ঘটনা বাড়তে থাকে। এদিকে, একই সঙ্গে কর্ণাটকে বহু জায়গায় জোর করে ধর্মান্তর করার অভিযোগও উঠে আসছে। এমন এক পরিস্থিতিতে কন্নড় বিধানসভায় এই ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ হতেই তার বিরোধিতা শোনা যায় চার্চের বহু সদস্যের তরফে। তাঁদের মতে এই বিল রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করবে। এদিকে পাবলিক ইউনিয়ন অফ সিভিল লিবার্টিজের তরফে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্ণাটকে ২০২১ সালের মধ্যে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ৩৯ টি বিদ্বেষমূলক ঘটনা ঘটে । এরপর এদিনের চিকবালপুরের ঘটনা নিয়ে ফের একবার উদ্বেগে কন্নড়ভূম।