৪ঠা জানুয়ারি ত্রিপুরায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগরতলায় ঠাসা কর্মসূচি তাঁর। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সমস্ত মানুষকে অনুরোধ করার পাশাপাশি সরকারি কর্মী আধিকারিকদেরও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমাদের আশা সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে মানুষ যেমন চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সরকারি কর্মী আধিকারিকরা উপস্থিত হয়ে এই অনুষ্ঠানকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলবেন। এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার ডাক দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত বাস ও অন্যান্য পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হবে এই কর্মসূচির জন্য। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব শ্রীরাম তরণীকান্তি জানিয়েছেন, ধর্মনগর থেকে সকাল ৭টায় স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। তবে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, লেবার ডাইরেক্টরেটের সমস্ত কর্মী, আধিকারিকদের মোদীজির কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী কি এতটাই অসুরক্ষিত? তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে। কত মানুষকে তিনি বিপদের মধ্যে ফেলছেন তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
তবে তথ্যমন্ত্রী এই প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, এটা একটা সরকারি কর্মসূচি। সেকারণেই সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য় বলা হয়েছে। যদি কেউ খুঁত ধরার চেষ্টা করেন তবে তিনি স্বর্গেও খুঁত খুঁজে পাবেন। প্রসঙ্গত ১৮৫০ কোটি টাকার ১৩টি প্রজেক্টের সূচণা করবেন তিনি। এদিকে গোটা এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।