কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি মন্ত্রী, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিরোধী নেতৃত্বের ফোন ট্যাপিং সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ করবে। মিলিটারি গ্রেড ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাসের মাধ্যমে এই অপকর্ম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়ের সঙ্গে ওয়াকিবহাল এক ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়েছেন। এই নির্দিষ্ট প্যানেল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রকের কাছ থেকে এই ফোন হ্যাকিং সংক্রান্ত অভিযোগগুলি শুনবে। নাগরিকদের তথ্যের নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও যোগাযোগ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রামাণ্য বিষয়গুলি শোনা হবে। ১৮ই জুলাই টুইট করে প্যানেলের চেয়ারম্যান শশী থারুর জানিয়েছেন ,ভারত সরকার ইতিমধ্যেই অবৈধ নজরজদারি বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে অন্য কোন সরকার(চিন বা পাকিস্তান) ভারতের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাতে চেয়েছিল? কর্তৃপক্ষের কী এব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান করা উচিৎ নয়?
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে যখন হোয়াটস অ্যাপ সম্পর্কে নানা কথা রটছিল তখনও এই প্যানেল সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে এব্যাপারে জানতে চেয়েছিল। বলা হচ্ছে ইজরায়েলের একটি এনএসও গ্রুপ এটি তৈরি করেছে। এটি কেবলমাত্র সরকারি গ্রাহকদের হয়েই কাজ করে। সোমবারের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ৩৮জন সাংবাদিকের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের ফোনও হ্যাক করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা মহিলাদের ফোনও হ্যাক করা হয়েছিল। এর সঙ্গেই হিন্দুস্তান টাইমসের তিনজন স্টাফ, মিন্টের একজন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ মিডিয়া জগতের দিকপালদেরও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।