ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম করে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গুরুগ্রামের সেই অভিযুক্তর সঙ্গেই রয়েছে ভয়ঙ্কর চিনা যোগ! কেমন? জানবেন এই প্রতিবেদনে।
চলতি সপ্তাহে বুধবার প্রশান্ত সিং নামের ৩১ বছর বয়সী এক 'কোম্পানি সেক্রেটারি'কে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে। এমনই প্রস্তাবে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকার আত্মসাত্ করত এক প্রতারণা চক্র। আর তার অন্যতম মাথা এই প্রশান্ত।
তবে প্রশান্তর মতো প্রতারণায় অভিযুক্তরা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। কারণ পুরো চক্রেরই মাস্টারমাইন্ডরা চিনা। বিশাল এক গ্যাংয়ের সামান্য অংশমাত্র প্রশান্তের মতো যুবকরা। আরও পড়ুন: IOCL: সরকারি সংস্থার শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা রেখে এখন কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা!
কীভাবে প্রতারণা হত?
গত এপ্রিলে নয়ডার এক বাসিন্দা পুলিশে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, BTC অ্যানালিসিস নামের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁকে অ্যাড করা হয়েছিল। সেখানে বিনিয়োগ অল্প সময়েই দ্বিগুণ করার কথা বলে তাঁর থেকে ১৩ লক্ষ টাকায় হাতায় প্রতারকরা।
জিজ্ঞাসাবাদে, অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে 'টার্গেট'দের প্রতারিত করত। এক ভুয়ো কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যেত। এদিকে এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে তারপর গ্যাংয়ের অন্য হাজারো অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হত।
প্রশান্ত সিং এবং তার সহযোগীরা মিলে এইভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের অজুহাতে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে, বলছেন সাইবার ক্রাইমের কর্তারা।
ভারতে বর্তমানে ক্রিটপোকারেন্সির জন্য কোনও নিয়ন্ত্রক কাঠামো নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২২-এর জুলাইয়ে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব উল্লেখ করে ক্রিপ্টো কারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির ভাবনার মূলে একসময়ে ছিল ডিসেন্ট্রালাইজড, স্বনিয়ন্ত্রিত একটি ডিজিটাল মুদ্রা তৈরির উপায়। তবে সময়ের সঙ্গে এটি শুধুই চটজলদি মোটা টাকা মুনাফা করার মাধ্যম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। খুব বিরল ক্ষেত্রে কেউ কেউ একসময়ে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ধনকুবের হয়েছেন। তবে তাঁরা যে সময়ে বিনিয়োগ করেছিলেন, তখন বেশিরভাগ মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম-ই শোনেননি। আরও পড়ুন: Muhurat Trading 2022: 'মুহরত ট্রেডিং'-এ চড়ছে সেনসেক্স! শেয়ার কিনতে হুড়োহুড়ি
এদিকে সেই গল্প শুনিয়েই এখনও 'ট্রেডিং'-এর নামে ভুয়ো প্রতারণা সংস্থা চলছে দেদার। আর দ্রুত বড়লোক হওয়ার লোভে তাতে পা দিয়ে সর্বহারা হচ্ছেন অনেকে।