ইতিহাসের নানান অধ্যায় পার করে ফের একবার টাটাগোষ্ঠীর মালিকানধীন হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। সবেমাত্র ১০ দিন কেটেছে এই মালিকানা হস্তান্তরের ঘটনার। আর তার মাঝেই ফের একবার এই বিমান পরিষেবা ঘিরে নানান ধরনের প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে। জানেন কি, এই বিমান সংস্থাকে 'এয়ার ইন্ডিয়া' নামটি দেওয়ার আগে , কোন কোন সম্ভাব্য 'নাম'এর তালিকা সামনে এসেছিল? কেইবা এই সংস্থার নাম দিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে খোদ টাটা গোষ্ঠী।
৭৫ বছর আগের ঘটনা। সালটা তখন ১৯৪৬। ভারতবর্ষ এক বড়সড় রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন। সেই সময় প্রথমবার নামকরণ হয় টাটা গোষ্ঠীর অধীনে থাকা 'এয়ার ইন্ডিয়া'র। নামটি নির্ধারণ করতে টাটাসনস্ একটি জনমত সমীক্ষা করেছিল। আর তা হয়েছিল টাটা সনস্-এর কর্মীদের মধ্যে। কর্মীদের সকলের মতামত সাপেক্ষেই বিমান পরিষেবা সংস্থার নাম হয় 'এয়ার ইন্ডিয়া'। এই এর আগে এই নামকরণের তালিকায় যে সম্ভাব্য নামগুলির উল্লেখ হয়েছিল, তা হল- ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স, প্যান ইন্ডিয়া এয়ার লাইন্স, ট্রান্স ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্স ও এয়ার ইন্ডিয়া। প্রাথমিকভাবে এই চারটি নামকে বেছে নেয় সংস্থার তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। তারপর কর্মীদের মধ্যে থেকে চলে জনমত সমীক্ষা। কর্মীদের সেই 'ওপিনিয়ন পোল' ই নির্ধারিত করে দিয়েছিল যে টাটা গোষ্ঠীর বিমান পরিষেবা সংস্থার নাম কী হতে চলেছে। এই গোটা ঘটনার তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। ১৯৪৬ সালে টাটাসনস্ এর মাসিক বুলেটিনও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে টাটা কর্তৃপক্ষ।
এদিনের পোস্টে টাটা কর্তৃপক্ষ জানান দিয়েছে, ১৯৪৬ সালে ওই নামকরণকে ঘিরে কর্মীদের মধ্যে ভোটাভুটি পর্ব কীভাবে আয়োজিত হয়। তৎকালীন টাটার বম্বে দফতরে কর্মীদের মধ্যে ভোটিং পেপার বিলি করে মতামত প্রকাশ করতে বলা হয়। আর তারপরই সর্বসম্মতিকে ক্রমে উঠে আসে এয়ার ইন্ডিয়া নামটি। এয়ার ইন্ডিয়ার সপক্ষে ভোট পড়েছিল ৬৪ টি। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স পেয়েছিল ৫১ টি ভোট, ট্রান্স ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্স নামটি পেয়েছিল ২৮ জনের সমর্থন। এছাড়াও প্যান ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্স পেয়েছিল ১৯ জনের সমর্থন। উল্লেখ্য, ৭ দশক আগে ভারতের প্রথম এয়ারলাইন সংস্থার মালিকানা হারায় টাটাগোষ্ঠী। কিন্তু ফের একবার ২০২১ সালে সেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করে ফেলে ভারতের এই তামাম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সরকারি মালিকানায় থাকা এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করে টাটা।