বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার বহু আগেই শেখ হাসিনা তৎকালীন মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলের পর বাইডেন প্রশাসন সাফ দাবি করে, বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে তাদের ভূমিকা নেই। এদিকে, চলতি বছরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সেই বার্তা আসে নভেম্বর মাসের প্রথমেই। এবার ডিসেম্বরের প্রথমে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের কাছে প্রশ্ন ছিল, আমেরিকায় নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প আসার পর কি পাল্টে যেতে পারে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক? তা নিয়ে মুখ খুললেন ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ রফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রফিকুল আলম, আমেরিকায় আসন্ন ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হতে চলেছে, তা নিয়ে মুখ খোলেন। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আগের ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈপরীত্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ।’ কার্যত ঢাকার বার্তা, ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার গদিতে এলেও, তাদের সঙ্গে কাজ করতে সমস্যা হবে না বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় বাইডেন সরকার থাকাকালীন বাংলাদেশে প্রশাসনের প্রধানের গদিতে বসেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে ইউনুস সরকার, আর আমেরিকায় ক্ষমতা হাতে উঠতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ও হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ঘিরে ক্ষোভে উত্তাল এপার বাংলা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে দিল্লিও।
ট্রাম্প, মার্কিন তখতে আসলে খেলা ঘুরবে কি না, তা লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন,' যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক সুদীর্ঘ ও বহুমাত্রিক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে অনেক বিষয় রয়েছে। দীর্ঘ ৫ দশকের সম্পর্কে বাংলাদেশ ডোমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, উভয় দলের সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে।' তিনি আরও বলেন,'আমাদের ৫ দশকের সম্পর্ক পর্যালোচনা করলে এটা সহজেই বোঝা যায় যে ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন হলেও তাদের বিদেশনীতি, কৌশলগত অবস্থান ও জাতীয় লক্ষ্য সমূহ অনেকটাই অপরিবর্তিত থাকে।