মোট প্রাপ্তবয়স্কের থেকে ভোটারের সংখ্যা বেশি হল কীভাবে? পাঁচ বছরে (২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে) যে রাজ্যে ৩২ লাখ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছিল, সেখানে কীভাবে চার মাসে (লোকসভা নির্বাচন থেকে বিধানসভা নির্বাচন) ভোটারের সংখ্যা ৪০ লাখ বেড়ে গেল? কয়েকটি বিধানসভায় যতজন নয়া ভোটার যুক্ত হয়েছেন, বিজেপির জয়ের মার্জিন সেটার প্রায় সমান হল কীভাবে? মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এমনই প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আর সেইসব বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের জবাব চেয়েছেন। যদিও আপাতত কমিশনের তরফে বিস্তারিত কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলছেন, বিস্তারিতভাবে সেগুলির উত্তর দেওয়া হবে। যাবতীয় তথ্য-সহ সেই উত্তর প্রদান করা হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) নেতা সঞ্জয় রাউত এবং এনসিপির (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) সুপ্রিম সুলের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল দাবি করেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় ৩৯ লাখের নাম যুক্ত করা হয়েছে। রাহুল প্রশ্ন করেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের (যে নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বাজিমাত করেছিল কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার জোট) পরে কেন বেশি সংখ্যক ভোটার যুক্ত হলেন? এই ৩৯ লাখ ভোটার কারা?’
প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার থেকে ভোটার বেশি কীভাবে? প্রশ্ন রাহুলের
আবার রাহুল দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সংখ্যা হল ৯.৫৪ কোটি টাকা। সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯.৭ কোটি টাকা। রাহুলের কথায়, ‘এরকম অসঙ্গতির বিষয়টাই প্রশ্ন তুলছে যে কীভাবে এই ভোটারদের যুক্ত করা হয়েছে?’
রাহুলের 'সন্দেহ' আরও বাড়ল কীভাবে?
আর রাহুলের 'সন্দেহ' বেড়েছে আরও একটি ক্ষেত্রে। তিনি দাবি করেছেন, ভোটার তালিকায় যাঁদের যুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগের ভোট গিয়েছে বিজেপি জোটের ঝুলিতে। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার জোটে প্রাপ্ত ভোটের হার মোটামুটি একই রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন রাহুল।
১৮ তারিখ ১ কোটি বলেছিলেন, আজ ৩৯ লাখ হল! কটাক্ষ বিজেপির
যদিও সেইসব দাবি নিয়ে কংগ্রেস নেতাকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। পদ্ম শিবিরের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালবিয়া বলেন, ‘১৮ জানুয়ারি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় এক কোটি ভোটারের নাম যুক্ত করা হয়েছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় উনি দাবি করেছিলেন যে সেই সংখ্যাটা ৭০ লাখ ছিল। আর আজ উনি একটা নতুন সংখ্যা নিয়ে হাজির হলেন। বিরোধী দলনেতা কি আদৌও এটা জানেন যে তিনি কী বলছেন?’